ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুনামগঞ্জে কমছে সহায়তা ॥ বাড়ছে কৃষকের হাহাকার

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৩ জুলাই ২০১৭

সুনামগঞ্জে কমছে সহায়তা ॥ বাড়ছে কৃষকের  হাহাকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ১২ জুলাই ॥ হাওড়ের ফসলহারা কৃষকদের জন্য নেয়া সরকারী সহায়তা একে একে বন্ধ হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রম। এর আগে বন্ধ হয়েছে ফেয়ারপ্রাইসে চাল বিক্রি। চলতি মাসের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যাবে প্রান্তিক, দরিদ্র ও ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য নেয়া ‘বিশেষ ভিজিএফ’ কার্যক্রম। এই কার্যক্রম বন্ধ হলে হাওড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাঁচার উপায় খোঁজে পাবে না। সরকারী প্রণোদনার পাশাপাশি বেসরকারী ত্রাণসহায়তাও কমে আসছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা জানিয়েছেন দু-এক মাসের মধ্যেই হাওড়ের কৃষকদের ঘরে ঘরে অভাব প্রকট আকার ধারণ করবে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অকাল বন্যায় সুনামগঞ্জের হাওড় ডুবে যাওয়ার পর ১০ এপ্রিল ফসলহারা কৃষকদের জন্য ৪২টি নির্দিষ্ট সেন্টারে ১৫ টাকা কেজিতে চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তী মাসে প্রতিটি হাওড় এলাকার বাজারে আরও ৬৮টি ওএমএস কেন্দ্র চালু করা হয়। এসব কেন্দ্র থেকে শনিবার বাদে প্রতিদিন ১৫ টাকা কেজিতে ২০০ মানুষের মধ্যে একটন চাল বিক্রি করা হতো। একই সময়ে ১৭ টাকা কেজিতে এক টন আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও এ অঞ্চলে আটার চাহিদা না থাকায় পরবর্তী মাসে তা বন্ধ হয়ে যায়। ৩০ জুন ওএমএস চাল বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে এপ্রিলের ২৩ তারিখ সরকার সুনামগঞ্জের হাওড়ের দেড় লাখ ফসলহারা চাষীকে তিন মাসের জন্য বিশেষ ভিজিএফের আওতায় নিয়ে আসে। প্রতিটি পরিবার মাসে ৫০০ টাকা ও ৩০ কেজি চাল সহায়তা পাচ্ছে। এই প্রণোদনা বন্ধ হয়ে যাবে চলতি মাসের ৩০ জুলাই। হাওড়ের লাখো কৃষকের জন্য নেয়া এই অপ্রতুল সরকারী সহায়তায় এতদিন খুঁড়িয়ে চলছিল কৃষকের সংসার। এখন ওএমএস বন্ধের পর বিশেষ ভিজিএফ বন্ধ হয়ে গেলে কৃষকরা চরম খাদ্য সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। জানা যায়, পুনরায় ওএমএস চালু ও বিশেষ ভিজিএফের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সরকারী সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
×