ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে পদ্মার তীব্র ভাঙ্গন ॥ বহু ঘরবাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৩ জুলাই ২০১৭

শরীয়তপুরে পদ্মার তীব্র ভাঙ্গন ॥ বহু ঘরবাড়ি বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১২ জুলাই ॥ নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কু-েরচর, বিলাশপুর, নড়িয়া উপজেলার সুরেশ^র, নওপাড়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পদ্মার তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে কু-েরচর জামে মসজিদ, ৫টি বসতঘর, একটি কালভার্ট, একটি ব্রিজ, ১টি মাদ্রাসা, কলমিরচর বাজার রাস্তাসহ অসংখ্য গাছপালা ও পাঁচ শতাধিক একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে কু-েরচর হাসেম আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের বাড়ি ও মসজিদ-মাদ্রাসা। এদিকে পদ্মাপাড়ে অবস্থিত শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কু-েরচর, বিলাশপুর ও নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মার ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোতের সঙ্গে এ ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রতিদিনই পাকা ভবন, মসজিদ মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, শত শত একর ফসলী জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন শত শত ঘরবাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল, রাস্তাঘাট, গাছপালাসহ বিশাল এলাকাজুড়ে ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গনরোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এসব এলাকায় গত ১ সপ্তাহে নদীভাঙ্গনে পাকাঘরসহ সহায়-সম্বল হারিয়ে সহস্রাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানান, প্রশাসনের লোকজন আসেÑআর দেখে যায় এবং সহমর্মিতা জানায় কিন্তু ভাঙ্গনরোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করছে না। অথবা নদীভাঙ্গনের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ অসহায় মানুষগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবেÑসে ধরনের কোন পরামর্শও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই তাদের ঘর-দরজা ভেঙ্গে নিয়ে রাস্তায় অথবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। কেউবা খোলা আকাশের নিচে দিনরাত কাটাচ্ছে। সরকারের কাছে ভাঙ্গন রোধে বেড়িবাঁধ দেয়াসহ স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা। সেই সঙ্গে এসব অসহায় লোকজন যাতে সরকারী খাস জমিতে বসবাস করতে পারেÑ তার সুব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
×