ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুমের শুরুতে পাটের ভাল দাম ॥ কৃষক খুশি

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৩ জুলাই ২০১৭

মৌসুমের শুরুতে পাটের ভাল দাম ॥ কৃষক খুশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ১২টি ইউনিয়নে পাট কাটা আর ধোয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সম্ভাবনার আশায় বুক বেঁধে পাটের বাজার দরে চাষীরা সন্তুষ্ট। তবে শেষ পর্যন্ত পাটের এমন দাম থাকবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কিত তারা। চিরিরবন্দরের অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট অন্যতম। সোনালি আঁশ নামে খ্যাত বাংলাদেশের এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো। পাটের মৌসুম এলেই বিশেষ করে বর্ষার শুরুতে চাষীদের মুখে ফুটে উঠতো আনন্দের ঢেউ। বর্ষা মৌসুমে জমিতে রোপা ধান লাগানোর কাজ শেষ করার পর বসে থাকা দিনগুলোতে কৃষাণ-কৃষাণীরা ঘরে ঘরে পাট দিয়ে তৈরি করতো দড়ি, রঙিন চট, মাদুর, শিকে ও ব্যাগ। এছাড়াও মেশিনের সাহায্যে তৈরি হতো পাটের বস্তা, কম্বলসহ নানা জিনিসপত্র। কিন্তু আজ এসব শুধুই স্মৃতি। দেশের পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমতে থাকে পাটের চাহিদা আর বিশ্ববাজার। ফলে চাষীরা সেচ যন্ত্রের সাহায্যে পাট চাষের ওইসব জমিতে প্রধান খাদ্যশস্য ধান চাষ শুরু করে। আর উঠে যেতে থাকে দেশে অন্যতম অর্থকরী ও ঐতিহ্যবাহী এ ফসল চাষ। তবে এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে বীজের অঙ্কুরোদগম না হলেও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় পাটের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। পাটাচাষি মুকুল, মকসেদ আলী, রশিদুল ইসলাম, জাকির ও রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে বীজ, নিড়ানি, হালচাষ, পাট কাটা ও ধোয়া বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। পাটের ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬শ’ টাকা দরে। আর পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে খুব সহজে ব্যবহার করে এবং চাষীরা প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাটকাঠি বিক্রি করে অর্থ আয় করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, চিরিরবন্দরের মাটি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া এবারে পাট চাষের অনকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় আবাদ ভাল হয়েছে। কৃষক দাম ভাল পেলে আবারও পাটের সুদিন ফিরবে। মর্যাদা পাবে পাট চাষ। এ বছর চিরিরবন্দরে ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে দেশী এবং তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে।
×