ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৩ জুলাই ২০১৭

পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা তিন কার্যদিবস উর্ধমুখী প্রবণতার পর বুধবার পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। এদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচক ও লেনদেন কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনটিতে প্রধান বাজারে ৭০ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজার ধারাবাহিক উর্ধমুখী থাকায় ডিএসইএক্স মূল্য সূচক রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। এ সময়ে ডিএসইএক্স সূচক ৫ হাজার ৭৪৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছিল ৮১ পয়েন্ট। এরপরই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ার কারণে সূচকের পতন ঘটে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৯১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪০৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার ডিএসইতে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির শেয়ার দর। এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সম্প্রতি ডিএসইর ইতিহাসে নতুন সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছার পর বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে দিনটিতে সার্বিক সূচকটি ৪০ পয়েন্ট কমে যায়। বাজার সংশোধনের দিনে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটির মোট ১৭ শতাংশ লেনদেন করেছে। তবে দরবৃদ্ধিতে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এই খাতের দর বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে দরপতনের শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাতটি। এই খাতের দর কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ এবং আর্থিক খাতের দর কমেছে দশমিক ৮০ শতাংশ। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইফাদ অটো, ফু-ওয়াং ফুড, বে´িমকো, ইসলামী ব্যাংক, তুং হাই নিটিং, নুরানী ডাইং, সাইফ পাওয়ারটেক ও অগ্নি সিস্টেম। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ফাইন ফুড, তুং হাই নিটিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বিডি অটোকার, ডেফোডিল কম্পিউটার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক, পিএইচপি মিউচুয়াল ফান্ড ও এমবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : প্রগেসিভ লাইফ, বিডি ওয়েল্ডিং, ঝিল বাংলা সুগার, বিচ হ্যাচারি, ফু-ওয়াং ফুড, মাইডাস ফিন্যান্স, সালভো কেমিক্যাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স ও মেঘনা কনডেন্স মিল্ক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ২১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি কোম্পানির শেয়ার। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, বে´িমকো, ফু-ওয়াং ফুড, মবিল যমুনা বিডি, ইসলামী ব্যাংক, সাইফ পাওয়ারটেক, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ডরিন পাওয়ার ও অগ্নি সিস্টেম।
×