ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয় ॥ জীববিজ্ঞান;###;Taslima Afroz

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৩ জুলাই ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01711-043777 e-mail: [email protected] (পর্ব - ৩৫) পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা উদ্ভিদের খনিজ পুষ্টি, উদ্ভিদের খনিজ পুষ্টির প্রকারভেদ, পুষ্টি উপাদানের উৎস ও উদ্ভিদের পুষ্টিতে বিভিন্ন খনিজ উপাদানের ভূমিকা, উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের গুরুত্ব ও পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ, প্রাণির খাদ্য ও পুষ্টি ও খাদ্যের প্রধান উপাদান ও উৎস (আমিষ, শর্করা, ¯েœহজাতীয় খাদ্য, ভিটামিন ও খনিজ লবণ) সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা: খাদ্যের প্রধান উপাদান ও উৎস এর মধ্যে পানি ও খাদ্য আঁশ পানি (ডধঃবৎ): পানির অপর নাম জীবন। জীবন রক্ষার কাজে অক্সিজেনের পরেই পানির স্থান। দেহের পুষ্টির কাজে পানি অপরিহার্য। দেহের গঠন ও অভ্যন্তরীণ কাজ পানি ছাড়া চলতে পারে না। মানবদেহে পানির কাজগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. দেহ গঠন, ২. দেহের অভ্যন্তরীণ কার্য নিয়ন্ত্রণ ৩. দেহ থেকে দূষিত পদার্থ নির্গমন। ১. দেহ গঠন : দেহোকোষের গঠন ও প্রতিপালন পানি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈহিক ওজনের ৪৫%-৬০% পানি। ২. দেহের অভ্যান্তরীণ কার্য নিয়ন্ত্রণ : পানি ব্যতীত দেহাভ্যন্তরে কোনো রাসায়নিক ক্রিয়া চরতে পারে না। দেহে পানি দ্রাবকরূপে কাজ করে। পানির জন্যই দেহে রক্তসঞ্চালন সম্ভব। রক্তে পরিবাহিত খাদ্য উপাদান এবং অক্সিজেন পানির মাধ্যমে দেহকোষে পেছৈতে পারে। দেহের সকল প্রকার রসে খনিজ লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। পরিপাককৃত খাদ্য উপাদান পনির দ্রবীভূত অবস্থায় ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্য দিয়ে রক্তে বিশোষিত হয়। ৩. দুষিত পদার্থ নির্গমন : পানি দেহের দূষিত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে । মলমূত্র, ঘাম ইত্যাদি দূষিত পদার্থের সাথে দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। এইভাবে প্রতিদিন দেহ থেকে প্রচুর পরিমানে পানি নির্গত হয়। তাছাড়া বয়স, আবহাওয়, পরিশ্রম, খাওয়ার অভ্যাস ইত্যাদি বিষয়গুলো পানির চাহিদাকে প্রভাবিত করে । তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈহিক ১ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। যেমন কোনো ব্যক্তির দৈহিক ক্যালরি চাহিদা ২০০ কিলোক্যালরি হলে, তার দৈনিক ২ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। খাদ্য আঁশ (ঋরনৎব) বা রাফেজ: শস্যদানার বহিরাবরণ, সবজি, ফলের খোসা, শসা, বীজ এবং উদ্ভিদের ডাটা, ফল মূল পাতায় আঁশ থাকে। এগুলো মূলত কোষপ্রাচীরের সেলুলোজ এবং লিগানিন। হাঁড় যেমন মানবদেহের কাঠামো তৈরি করে, সেলুলোজ ও রাফেজ তেমনি উদ্ভিদের কাঠানো তৈরি করে। এগুলো জটিল শর্করা। গবাদিপশু যেমন- গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি সেলুলোজ হজম করতে পারে। কিন্তু মানুষ এগুলো হজম করতে পারে না। রাফেজ পানি শোষণ করে এবং মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও বৃহদান্ত্র থেকে মল নিষ্কাশনে সাহায্য করে। রাফেজযুক্ত খাবার বিষাক্ত বর্জনীয় বস্তুকে খাদ্যনালি থেকে পরিশোষণ করে। ধারণা করা হয় এরূপ খাবার খাদ্যনালির ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস করে। আঁশযুক্ত খাবার স্থ’লতা হ্রাস, ক্ষুধাপ্রবণতা হ্রাস ও চর্বি জমার প্রবণতা গ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে আর্দশ খাদ্য পিরামিড ও খাদ্য গ্রহণের নীতিমালা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।
×