ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুহাম্মদ শরীফ

সচেতনতাই প্রতিষেধক

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১৩ জুলাই ২০১৭

সচেতনতাই প্রতিষেধক

চিকুনগুনিয়া নামক এক নবীন ভাইরাসে কাঁপছে দেশ। আমাদের দেশে ভাইরাসটি নতুন মনে হলেও, এটি অনেক পুরনো একটি ভাইরাস। যা এডিস নামক এক ধরনের মশা বহন করে থাকে। এক সমীক্ষা অনুসারে, এখন ঢাকার জ্বরগ্রস্তদের বড় অংশ এ ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকুনগুনিয়া কেবল এডিস মশারাই বহন করে না; বানর, পাখি, এমন কি ইঁদুরও এই ভাইরাসটি বহন করতে পারে। তবে, আমরা কেবল মশা দ্বারাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হই। চিকুনগুনিয়ার প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃৃত হয়নি। তাই চিকিৎসকরা এর জন্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রোধ করতে বলেন এই মশার বিস্তার। মুরব্বিদের কাছ থেকে জেনেছি, আগে হেলিকপ্টার দিয়ে মশার ওষুধ গ্রাম-গঞ্জে ছিটোনো হতো। আর এর জন্য মশা থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারতেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু আধুনিককালে এসেও সরকার কেন সেরকম কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়। কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে চিকুনগুনিয়া রোধে মশা নিধনে সেরকম কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা। চিকুনগুনিয়া হলে ব্যথাসহ প্রচ- জ্বর হতে পারে। এর জন্য ঠা-া পানি, ডাব, ফলের জুস খেতে পারেন। ব্যথার জন্য নরমাল প্যারাসিটামল জাতিয় ওষুধ নিতে পারেন। চিকুনগুনিয়াকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ডাক্তার ও ফার্মেসি মালিকরা অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ওষুধ রোগীকে দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা হাজার হাজার টাকা। আর সাধারণ রোগীরা না জেনেই হচ্ছেন প্রতারিত। চিকুনগুনিয়া বেশিদিন স্থায়ী হয় না। সপ্তাহের মধ্যেই এটি ভাল হয়ে যায়। তাই চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্লা থেকে
×