ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুইয়ে-লজ্জা মানতে পারছেন না ম্যাথুস

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১২ জুলাই ২০১৭

জিম্বাবুইয়ে-লজ্জা মানতে পারছেন না ম্যাথুস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ (৩-২এ) জিতেছে জিম্বাবুইয়ে। ‘ফাইনাল’ হয়ে ওঠা শেষ ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৩ উইকেটে হারিয়ে স্মরণীয় এ কীর্তি গড়েছে গ্রেয়ামে ক্রেমারের দল। সেটিও আবার লঙ্কানদেরই মাটিতে। কঠিন পরিস্থিতিতে অপরাজিত ২৭ রানের অমূল্য ইনিংস উপহার দেয়া সিকান্দার রাজা এটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন, অন্যদিকে স্বাগতিক অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এমন হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এটিকে ক্যারিয়ারের বাজে পরাজয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। দুর্বল জিম্বাবুইয়ের কাছে লজ্জার পর লঙ্কানদের সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা কিছুটা হলেও শঙ্কার মুখে পড়েছে। শুক্রবার কলম্বোয় শুরু দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। ম্যাথুস বলেন, ?‘এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়গুলোর একটি। মেনে নিতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে। সবকিছু আমাদের বিপক্ষে গেছে (শেষ ওয়ানডে); টস থেকে শুরু করে উইকেট বুঝতে না পারা। কিন্তু কোন অজুহাত দিচ্ছি না। দিনশেষে আমরা ওদের হারানোর মতো খেলিনি, এটাই সত্যি। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক ভাল খেলেছে।’ এটা ঠিক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে ঘরের মাটিতে পাঁচ ওয়ানডের দীর্ঘ সিরিজে দুর্বলতম জিম্বাবুইয়ের কাছে হার, দেশটির সমর্থকেরা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। যে জিম্বাবুইয়ে সহযোগী দেশ আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারে, ম্যাচ হারে স্কটল্যান্ডের কাছে। বাজে সময়ে ম্যাথুসের ওপর চাপটা আরও বাড়ল, তাহলে কি অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন? ‘আমি এটা নিয়ে এখনও ভাবিনি। এখনও হাতে কিছুটা সময় আছে। এ নিয়ে ভাবব, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলব। সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা এখনও নিইনি।’ সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। প্রতিপক্ষ দুর্ধর্ষ ভারত। শ্রীলঙ্কার সরাসরি বিশ্বকাপে খেলাটা আসলেই চ্যালেঞ্জের মুখে। সিরজি নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে ছিল লো-স্কোরিং। ৮ উইকেটে মাত্র ২০৩ রানে থামে ম্যাথুজদের সংগ্রহ। জবাবে এক পর্যায়ে ১৭২ রানে ষষ্ঠ এবং ১৭৫-এ সপ্তম উইকেট হারানো জিম্বাবুইয়েও হারের শঙ্কায় পড়েছিল। ৭৩ রান করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার গড়ে দেয়া ভিতের পূর্ণতা দিয়েছেন রাজা। ২৭ বলে অপরাজিত ২৭ রানের পথে শেষদিকে অধিনায়ক ক্রেমারকে নিয়ে গড়েন ২৯ রানের মহামূল্যবান জুটি। ‘এটা কেবল ২৭ রানের একটা ইনিংস নয়; তারচেয়েও বড় কিছু। জয়ের পথে থেকে আমরা প্রায় হেরেই যাচ্ছিলাম। এমন একটা ইনিংস তখন দরকার ছিল। আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারব না।’ বলেন ঐতিহাসিক জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার বগলদাবা করা সিকান্দার রাজা। বল হাতেও ৩ উইকেট নেন তিনি। ‘আপনি যখন রান চেজ করতে যাবেন তখন আপনার ওপর চাপ থাকবে। সেই চাপটাকে বোঝা হিসেবে গ্রহণ করলেই বিপদ। যখন ব্যাট করছিলাম আমার সামনে একটা ছবি ভাসছিল। আর তা হলো আমাদের বিজয়ের ছবি। আসলে প্রথম ম্যাচটি জিতেই আমরা মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল চাইলে আমরা সিরিজও জিততে পারি। সবকিছু একেবারে ঠিকঠাক মতো না হলেও শেষ পর্যন্ত আমরাই জয়ী।’
×