ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত মেহেদী হাসান মিরাজের

‘টেস্টে আমরা বড় বড় দলকে হারানোর যোগ্যতা রাখি’

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১২ জুলাই ২০১৭

‘টেস্টে আমরা বড় বড় দলকে হারানোর যোগ্যতা রাখি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলছে। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য চেষ্টা চলছে। ফিটনেস লেভেলটা আরও উঁচুতে নেয়ার চেষ্টা চলছে। সেই চেষ্টা করে চলেছেন ক্রিকেটাররাও। দ্বিতীয়দিনের মতো মঙ্গলবার ফিটনেস ট্রেইনিং হলো। ট্রেইনিং শেষে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা বড় বড় দলকে টেস্টে হারানোর যোগ্যতা রাখি।’ মিরাজ বলেছেন, ‘আসলে এটা কিন্তু সবাই জানে, আমরা শুধু ওয়ানডেতে না আমরা টেস্টেও ভাল খেলছি। আমরা গত এক বছর ভাল ক্রিকেট খেলছি, উইনও করছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি, শ্রীলঙ্কার মাটিতেও এক’শতম টেস্টে জিতেছি। আমার কাছে মনে হয় না আমরা ওভাবে আর বিশ্বের কোন দলের সঙ্গে ভাল মতো লড়াই করতে পারব না। আমরা বিশ্বাস (বলছে আশা) করি, আমরা বড় বড় দলকে টেস্টে হারানোর যোগ্যতা রাখি। যেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’ আগস্টের ১ তারিখ থেকে ক্যারিবিয়ার প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) শুরু হবে। এবার সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইটরাইডার্সে খেলবেন মিরাজ। এজন্য চলতি মাসের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উড়াল দেবেন। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে মিরাজ সিপিএলে খেলার জন্য ছাড়পত্রও পেয়ে যেতে পারেন। সিপিএলে যাওয়ার আগে তাই কন্ডিশনিং ক্যাম্পটি মিরাজের জন্য দারুণ কাজে দেবে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্যও কন্ডিশনিং ক্যাম্পটি কাজে দেবে। এইরকম ক্যাম্প করার সুযোগ যে সচরাচর হয় না। দীর্ঘদিন খেলা না থাকলেই সুযোগ মিলে। মিরাজ তাই বলেছেন, ‘আসলে একটা জিনিস আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করার জন্য যথেষ্ট সময় পাই না। বছরে যদি ফিটনেসের জন্য ২০ বা ২৫ দিন সময় পাই তাহলে ওটা ফিটনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আসলে শেষ জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প যে হয়েছে, তখন আমি জাতীয় দলে ঢুকিনি। আমরা ওই ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে এক বছর ক্রিকেট খেলেছি। ওইটা খুব ভাল একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প ছিল। আমি দেখেছি, এইচপি ক্যাম্পে ছিলাম। ওই ফিটনেস নিয়ে সবাই স্টিল খেলছে। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ফিটনেস ক্যাম্প। আশাকরি সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা যাব। তারপর আরও খেলা। সামনে এক বছর অনেক ব্যস্তসূচী থাকবে আমাদের। আমাদের কাছে মনে হয় এই ফিটনেস ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামনের এক বছরের জন্য। আমাদের যে সামনে খেলা আছে সেটার জন্য এটা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আসলে ফিটনেস কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আমরা কিন্তু এরকম সময় পাই না। খেলা চলাকালীন সময়ে কিন্তু আমাদের ফিটনেস ক্যাম্প ওরকম করে করানো হয় না। তখন খেলা থাকে। অন্য সিডিউল থাকে। এখন খেলা নেই। স্পেশালিস্ট সিডিউল করে ফিটনেসের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। আমাদের সামনে অনেক খেলা আছে। এই যে আমাদের তিন সপ্তাহ কিংবা সামনে যে ব্যস্তসূচি আছে সে জন্য সবার যেন ফিটনেস ঠিক থাকে এবং এক বছরে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য ঠিক রাখা। খেলার সময় শুধু ঝালাই করতে হবে। জাস্ট একটু রানিং, জিম করলাম। আর মাঠে গিয়ে খেললাম। এটা কোন সমস্যা হবে না। আমরা এখন যদি ফিটনেস পাই তাহলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ নিয়ে মিরাজ জানান, ‘যে উইকেটেই খেলি না কেন টার্গেট থাকবে ভাল করার জন্য। উইকেট তো আমাদের হাতে না। আমরা যদি ওরকম উইকেট (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন ছিল) পাই আমাদের স্পিনারদের জন্য ভাল হবে। যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আমাদের সামনে অনেক ভাল সিরিজ আছে। আশা করছি ভাল কিছু হবে। আমাদের ফিটনেস যখন ইমপ্রুভ হবে তখন আমরা স্কিলেও উন্নতি করতে পারব। আমাদের সবকিছু ঠিক থাকলে পারফর্মেন্সও ভাল হবে। ওর ওপরই জোর দেয়া হয়েছে।’ তবে এখনই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে মাথায় ভাবনা নিতে রাজি নন মিরাজ, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি না। আমি যে জিনিসটা নিয়ে চিন্তা করছি, আমার স্কিল, ফিটনেস ডেভেলপমেন্ট করার জন্য। যখন অস্ট্রেলিয়া আসবে, যখন মেইন অনুশীলন করা শুরু করব তখন থেকে থিংকিং করা শুরু করব। আমি যদি এখন থেকেই চিন্তা করা শুরু করি তাহলে বর্তমানে যে ফিটনেস করছি ওটার ওপর নজর থাকবে না। আমি যদি এদিকে নজর দেই এখন তখন ওটাও অটোমেটিক ভাল হবে। আমি ওটা নিয়ে এখনও চিন্তা করছি না।’ সিপিএল নিয়ে মিরাজ জানান, ‘আসলে আমাদের সামনের মাসের এক তারিখ থেকে সিপিএল খেলা। অলরেডি সিইও স্যারকে শ্রীলঙ্কায় থাকতে হাল্কা টাচ দিয়েছিলাম। বোর্ড থেকে একটা লেটার নিতে হয়। আশা করছি দ্রুতই সেটা পেয়ে যাব। সুজন স্যার, আকরাম স্যারকে জানিয়েছি। কোচের কাছেও জানিয়েছি। তারা বলেছেন কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে তুমি যেতে পারবা। কিন্তু বোর্ড থেকে একটা চিঠি দিবে ওইটাই চূড়ান্ত করবে সবকিছু। আশাকরি এ মাসের শেষের দিকে যাব।’
×