ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি জানালেন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকে বাদ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না

মাশরাফিকেই অধিনায়ক রাখছে বিসিবি

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১২ জুলাই ২০১৭

মাশরাফিকেই অধিনায়ক রাখছে বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলবে না দেখে এখন থেকেই ভারত তাদের অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশে এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? এমন প্রশ্ন ২ জুলাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে করা হয়। তিনি জানান, ‘এগুলো চিন্তা ভাবনায় আছে।’ তার এই বক্তব্যেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতিই জানালেন, ‘মাশরাফিকে বাদ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ মাশরাফিকে দল থেকে বাদ দেয়ার কথা এ মুহূর্তে কেউ বলতে পারবে বলে মনে হয় না। তার নেতৃত্ব নিয়েই যত কথা হয়েছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও প্রায় দুই বছর বাকি। ২০১৯ সালের ৩০ মে শুরু হবে বিশ্বকাপ। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক খেলা রয়েছে। ঘরোয়া লীগও তো আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে, টি২০ সিরিজ, দুইবার করে বিপিএল, প্রিমিয়ার লীগ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ, তিনজাতি সিরিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ, আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ, জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে। মাশরাফি টানা দুই বছর বর্তমান ছন্দেই কী খেলে যেতে পারবেন? তাছাড়া হঠাৎ করে নেতৃত্ব যদি পরিবর্তন করতেই হয় তাহলে তো দলই বিপদে পড়বে। নতুন অধিনায়ক তখন দলকে কিভাবে পরিচালনা করবে? এসব বিষয়ও সামনে চলে আসছিল। পাপনের কথাবার্তাতেও সেদিন নেতৃত্ব পরিবর্তন করার ইঙ্গিতই ছিল। মাশরাফির নেতৃত্ব নিয়েই কথাবার্তা হয়েছিল। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফিকেই নেতৃত্বে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপন। তবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ মাশরাফির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দল খেলবে কিনা তা কিন্তু এখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি। পাপন বলেছেন, ‘সেদিন আমি যেটা বলেছি সেটা পরিষ্কার। আমাকে ধোনির উদহারণ টেনে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ধোনি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলবে না দেখে এখন থেকেই ভারত তাদের অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? তখন আমি বলেছিলাম যে চিন্তা ভাবনায় আছে। এর বড় উদহারণই তো টি২০তে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন। এর সঙ্গে ওয়ানডের কোন সম্পর্কই নেই।’ ওয়ানডেতে মাশরাফির যাওয়া না যাওয়া নিয়ে সেদিন কোন কথাই হয়নি বলে জানান বিসিবি সভাপতি, ‘ওয়ানডেতে মাশরাফির যাওয়া কিংবা না যাওয়া নিয়ে সেদিন কোন কথাই হয়নি। কিন্তু বিষয়টি এমনভাবে প্রচারিত হয়েছে। সব জায়গাতে বলা হচ্ছে মাশরাফিকে এখনই বাদ দিয়ে দেয়া হচ্ছে ওয়ানডে থেকে। নতুন অধিনায়ক খোঁজা হচ্ছে। অথচ এগুলো নিয়ে আলাপই হয়নি। আর আলাচনা করার সুযোগই নেই। মাশরাফি এখানে কেবল একজন খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, অধিনায়কও বটে। তার এই দায়িত্বটা সে যেভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশে তার বিকল্প পাওয়া অসম্ভব। এই মুহূর্তে তার বিকল্প কোন খেলোয়াড় আমাদের কাছে নেই। এছাড়া পারফর্মেন্সের কথা দেখেন। তার পারফর্মেন্স কিন্তু অনেক ভাল। আমাদের মাথায় সবসময় চিন্তা আছে সাকিব চলে গেলে কি হবে, মুশফিক না থাকলে কি হবে। এই চিন্তা তো আমাদের মাথায় আছেই এবং থাকবে। এটা মানে এই নয় যে মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। অভিজ্ঞদের নিয়ে ভাবছি এর মানে কখনই এটা নয় যে তাদের বাদ দিয়ে বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। এগুলো ওর জন্যও অস্বস্তিকর, আমাদের জন্যও বটে।’ পাপন আরও জানান, ‘একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি মাশরাফি যতদিন খেলতে পারবে ততদিন ওকে বাদ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ সে শুধু একজন খেলোয়াড়ই নয়, তিনি একজন অধিনায়কও। ওর মতো অধিনায়ক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। এই ধরনের প্রশ্ন এই সময় উঠাটা উচিতই না। সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে। তার আগে আমরা কোন বিকল্প খেলোয়াড়দের খোঁজ না পেয়ে যদি এগুলো বলি তাহলে ওই খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থাটা কি হয়। যাই করি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে। আপনাদের আগে খেলোয়াড়রাই জানতে পারবে। মাশরাফির সঙ্গে এই ধরনের কথা আমার সঙ্গে কখনই হয়নি।’
×