ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিমলায় বাঁশের সাঁকো দখল করে বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১২ জুলাই ২০১৭

ডিমলায় বাঁশের সাঁকো দখল করে বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার বন্ধ করে প্রভাবশালী মহল গ্রামবাসীকে জিম্মি করে ডিমলা উপজেলার নাউতারা নদীতে খেয়া পারাপারে বাধ্য করে অর্থ আদায় করছে। রবিবার দুপুর ১২টায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষজনকে পারাপার বন্ধ করে দেয়। দুপুর দুইটার দিকে ছোট নৌকায় ৪০ যাত্রী নিয়ে নদী পারাপারের সময় নৌকাটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। পানি কম থাকার কারণে যাত্রীরা রক্ষা পেলেও নাউতরা বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের বিপাকে পড়তে হয়। জানা যায়, নাউতারা নদীর ওপর বেইলি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়লে সেটি চলাচলে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের আওতায় দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে ব্রিজটির কাজ সমাপ্ত হবার কথা রয়েছে। এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে, হঠাৎ করে এলাকার প্রভাবশালী মহল রবিবার দুপুর ১২টা হতে বাঁশের সাঁকোর এক প্রান্তের সম্মুখ অংশ ওপরে তুলে দিয়ে পারাপার বন্ধ করে পারাপারের জন্য নৌকা ভিড়িয়ে দেয়। নৌকায় মানুষ পারাপারে মাথাপিছু আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা করে। দুপুর দুইটার দিকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে পারাপারের সময় নৌকা ডুবে যায়। নদীতে পানি কম থাকায় নৌকাযাত্রীরা রক্ষা পায়। অপরদিকে বাঁশের সাঁকো মেরামতের নামে মোটরসাইকেল প্রতি ২০ টাকা, বাইসাইকেল ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, নাউতরা ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলায় ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো মেরামতের কাজ চলছে। রাজশাহীতে হঠাৎ বেড়েছে গোখরার বিস্তার স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী অঞ্চলে হঠাৎ বেড়েছে বিষধর সাপের বংশ বিস্তার। কয়েক বছর ধরে বিষাক্ত রাসেল ভাইপারের সন্ধান পাওয়ার পর এবার মিলছে বিষধর গোখরা। গত সপ্তাহে রাজশাহী নগরী, তানোর ও দুর্গাপুরে ২০০’র বেশি গোখরার বাচ্চা মেরে ফেলা হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর এক বাড়িতে ২৮, তানোরে ১২৫ ও দুর্গাপুরে আরও ৪৫ গোখরার বাচ্চা মেরে ফেলা হয়।এদিকে বিভিন্নস্থানে সাপের বংশ বিস্তারে আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। সাপের খবরে বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়ালেও পরিবেশের জন্য সাপের আধিক্য আশীর্বাদ বলে মনে করছেন প্রাণী ও পরিবেশবিদরা। সাপ না মেরে সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এদিকে কেবল সাপের উপদ্রব নয়, এ অঞ্চলে সাপে দংশনের খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিনই। গড়ে দুজন করে সাপেকাটা রোগী আসছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। রামেক হাসাপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে হাসপাতালে সাপেকাটা রোগী ভর্তি হয়েছে ৯জন।
×