ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

ফুলবাড়িয়ার রিয়াজউদ্দিন ও অন্য রাজাকাররা ৪৩ জনকে হত্যা করে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১২ জুলাই ২০১৭

ফুলবাড়িয়ার রিয়াজউদ্দিন ও অন্য রাজাকাররা ৪৩ জনকে হত্যা করে

সাক্ষী বেলায়েতের জবানবন্দী স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আলবদর রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সপ্তম ও অষ্টম সাক্ষী জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সপ্তম সাক্ষী বেলায়েত হোসেন মোল্লা বলেছেন, আসামি ও অন্য রাজাকাররা আমার বাবা ওসিম উদ্দিনসহ ৪৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। অন্যদিকে অষ্টম সাক্ষী মোঃ নজরুল ইসলাম জবানবন্দীতে বলেছেন, রাজাকাররা আমার বাবা নওশের আলীকে গুলি করে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে গ্রামের অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষের জন্য ২ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া থানার ১১ রাজাকারের মধ্যে ৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাদের শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে তাদের সেফহোমে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতিও প্রদান করা হয়েছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার জন্য পরবতী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন, প্রসিকিউটর শেখ মোশফেক কবির প্রমুখ। রিয়াজ উদ্দিন ফকির একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নবেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ফুলবাড়িয়ার আলবদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ উদ্দিন ফকির। ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভালুকজান গ্রামের শহীদ তালেব ম-লের ছেলে খোরশেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবা তালেব ম-লকে আখিলা নদীর ব্রিজের ওপর দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করে থানা রাজাকার বাহিনীর প্রধান আমজাদ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ ফকিরের নেতৃত্বে ওয়াজউদ্দিনসহ অন্য রাজাকাররা। খুলনার ১১ রাজাকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া থানার ১১ রাজাকারের মধ্যে ৯ রাজাকারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ ৯ রাজাকারকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুজন পলাতক রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ জনকে হত্যা, লুণ্ঠন, আটকে রেখে নির্যাতন এমন দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, শেখ আবদুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান গাজী (৮২), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মোঃ শাজাহান সরদার (৬৭), আবদুল করিম শেখ (৬৫), আবু বক্কর সরদার (৬৭) ও রওশন আলী গাজী (৭২), মোঃ সোহরাব হোসেন (৬২) ও নাজের আলী ফকির (৬৫)। ময়মনসিংহের ১১ রাজাকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের খলিলুর রহমানসহ ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর।
×