ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিতু হত্যা মামলা

চট্টগ্রামে বাবুল আক্তারকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১২ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রামে বাবুল আক্তারকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রামে আসেন আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মোঃ কামরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে মামলার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, তদন্ত কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় জানতে তিনি বাবুল আক্তারকে ডেকেছিলেন। মামলার অগ্রগতিতে বাবুল আক্তারের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, তিনি এ মামলার বাদী। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আসেন। এরপর তিনি চলে যান সরাসরি তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাবুল আক্তার সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ঘটনা এবং মামলার নানা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। তবে কি তথ্য পাওয়া গেছে বা মামলার অগ্রগতি কতটুকু সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোন কিছু জানাননি তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি শুধু বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। এদিকে মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে আসছেন জেনে গণমাধ্যম কর্মীরা নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে ছুটে যান। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে তিনি শুধু হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় ছাড়া আর কোন কথা বলেননি। তদন্ত কর্মকর্তার ডাকে এর আগে গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এসেছিলেন বাবুল আক্তার। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় নির্মমভাবে খুন হন তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তারপতœী মাহমুদা খানম মিতু। তিনি সন্তানকে স্কুল বাসে তুলে দেয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। মোটর সাইকেলযোগে আসা তিন সন্ত্রাসী মিতুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করে। আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেই গ্রেফতার হয়েছে। বাকি রয়েছেন শুধু বহু আলোচিত মুসা। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামিরা সকলেই বলেছে মুসার কথা। পুলিশ বলছে, সেই মুসাকে গ্রেফতার করা গেলে সবকিছু জানা যাবে। কিন্তু সে মুসাকে আদৌ পাওয়া যাবে কিনা কিংবা মুসা বেঁচে আছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
×