ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমিক পলাতক

প্রেমিকার দায়েরকৃত মামলায় প্রেমিকের বাবা আটক

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১১ জুলাই ২০১৭

প্রেমিকার দায়েরকৃত মামলায় প্রেমিকের বাবা আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১০ জুলাই ॥ দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আট দিন দৈহিক মিলনে বাধ্য করা হয়েছে। যৌনসঙ্গমসহ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি মোবাইলে তুলে ইন্টারনেটে ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সব ঘটনা চেপে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে প্রেমিক কলেজ ছাত্র নাইমুল ইসলাম কৌশলে সটকে পড়েছে। এ সুযোগে নাইমুলের বাবা আবুল হোসেন, মা ময়না বেগম, বোন জুলিয়া বেগম, বোন জামাই মোঃ ইব্রাহিমসহ কয়েকজন মিলে মস্তান বাহিনী ডেকে খুনের ভয় দেখিয়ে হোন্ডায় তুলে নাইমুলের বৈদ্যপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে কিশোরীকে কোম্পানিপাড়া তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। উভয়ের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নে। কিশোরী জানায়, সে অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর নাইমুল ফের নিজেকে রক্ষার জন্য নানান কৌশল করে। ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ থেকে ১৩ জুন বাড়িতে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে কিশোরীর সঙ্গে। নির্যাতিতা কিশোরী সরলমনে সব মেনে নিয়ে ঘর সংসার করার স্বপ্নে বিভোর হয়। এমনকি কলাপাড়া উপজেলা মহিলা অধিদফতর কার্যালয়ে গিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প বিয়ের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয় নাইমুল। নাইমুলের কথা সরলমনে বিশ^াস করে তার সঙ্গে ঈদের দিন ফের ওই বাড়িতে যায় কিশোরী। কিন্তু নাইমুলের বাবা-মা বিয়েতে অস্বীকার জানায়। সটকে পড়ে নাইমুল। তাড়িয়ে দেয়া হয় কিশোরীকে। এরপর থেকে অসহায় দরিদ্র কিশোরী তার সর্বস্ব হারিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রবিবার রাতে কলাপাড়া থানায় প্রেমিক নাইমুলসহ ছয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই রাতে নাইমুলকে গ্রেফতার করতে না পারলেও তার বাবা আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান কিশোরীসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা দেয়া হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
×