ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আসছে কঠোর পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১১ জুলাই ২০১৭

পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আসছে কঠোর পদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার দুর্গম পাহাড়ে অবৈধভাবে দখল করা জায়গায় গড়ে ওঠা ঘরবাড়ি উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। সরকারী জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল বিশাল এক সাম্রাজ্য, যা এতদিন প্রশাসনের নজরেই আনা হয়নি। সোমবার অনুষ্ঠিত এক সভায় এজন্য ক্ষোভ ঝারেন জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৭তম সভায় উঠে আসে সীতাকু- উপজেলার আওতাধীন জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় বেদখল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভুঁইয়া এ প্রসঙ্গ তুলে ধরতেই ক্ষোভ ঝারেন জেলা প্রশাসক। তিনি জানতেন চান চট্টগ্রামের কর্মস্থলে যোগ দেয়ার দু’মাসের মধ্যেও বিষয়টি তার নজরে আনা হলো না কেন। প্রসঙ্গত জেলা প্রশাসক বলেন, মুসা বিন শমসেরের নাকি ৫৬ হাজার কোটি টাকা আছে। তিনিও তো এভাবে সরকারী পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করতে পারেন না। পাহাড়ে স্থাপনা গড়ার আগে সরকারের কাছ থেকে সে জায়গা কিনে নিতে হবে। পাহাড় দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা জেলা প্রশাসনকে অবহিত না করায় তিনি সীতাকু-ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং তহশীলদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিরষ্কৃত করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, যে সকল পাহাড় রেল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার অধীনে আছে তাদের বার বার বলা হচ্ছে বস্তি উচ্ছেদ করে পাহাড়গুলো উদ্ধার করতে। কিন্তু সে কাজটি করা হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আর উদ্যোগী এবং সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান। হাসপাতাল থেকে চুরি শিশু উদ্ধার হয়নি স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ হাসপাতাল থেকে চুরি শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ড থেকে কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় এক নারী। শিশু চুরির ঘটনায় ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কলসালটেন্ট আব্দুর রহিম মোড়লকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। চুরি শিশুটি যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকার সাইদুল ইসলাম-রুপালি খাতুন দম্পতির। একদিন বয়সী একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই দম্পতি। প্রসূতি রুপালি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ছেলে সন্তানটিকে প্রসব করেছিলেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ কে এম কামরুল হাসান বেনু জানিয়েছেন, ওটি থেকে বাচ্চার অভিভাবকের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পরদিন ওয়ার্ডের সামনে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে জানিয়ে ডাঃ বেনু বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
×