ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে অর্থমন্ত্রী

গ্রাম পুলিশদের মৃত্যুভাতা প্রদান বিবেচনাধীন

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১০ জুলাই ২০১৭

গ্রাম পুলিশদের মৃত্যুভাতা প্রদান বিবেচনাধীন

সংসদ রিপোর্টার ॥ গ্রাম পুলিশদের এককালীন কিছু মৃত্যু ভাতা প্রদান করা যায় কীনা সেটা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। রবিবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুসারে জরুরী জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিসের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দফাদার ও মহল্লাদারদের (চৌকিদার) ২০২০ সালে আবার বেতন ভাতা বাড়ানো হতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ বেতন ভাতা বৃদ্ধি হওয়ার পরেও গ্রাম পুলিশদের খুব বেশি বেতন বাড়েনি। গ্রাম পুলিশদের ভাতার ৫০ শতাংশ সরকার দেয়, আর ৫০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ দেয়। সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু দফাদার মহল্লাদারদের বেতন ভাতা অন্য সাইকেলে বাড়ানো হয়। তাদের পূর্ব নির্ধারিত বেতন ভাতা ছিল ২০১০ সালের, সেটা ২০১৫ সালে বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানো হয়নি। সম্ভবত ২০২০ সালে আবার বাড়ানো হতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগের হিসাব তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৫টি। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন দফাদার এবং ৯ জন মহল্লাদার সমন্বয়ে ১০ জন গ্রাম পুলিশ আছে। সে হিসেবে মোট গ্রাম পুলিশ ৪৫ হাজার ৪৫০ জন। তিনি আরও বলেন, অর্থ বিভাগ ভুলে বসে আছে সেটা ঠিক নয়। ২০১৬ সালে ২৬ জানুয়ারিতে এক আদেশ বলে গ্রাম পুলিশদের তাদের অবসরভাতা এককালীন অনুদান দফাদারদের ৬০ হাজার টাকা এবং মহল্লাদারদের ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে অর্ধেক সরকার দেয় বাকি অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া হয়। দুটি ঈদে তাদের উৎসব ভাতা দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রাম পুলিশদের জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০১৭-১৮ সালে বরাদ্দের পরিমাণ ১৩৫ কোটি টাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের এককালীন কিছু মৃত্যু ভাতা প্রদান করা যায় কি না সরকার সে বিষয়ে বিবেচনা করছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি অস্বীকার করা যাবে না ॥ ভূমিমন্ত্রী ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি আছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। বহুদিন ধরে এই দুর্নীতি প্রচলিত আছে, তবে সরকার দুর্নীতি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। রবিবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভূমি অফিস তৈরি হবে। এই ভূমি অফিসগুলো আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় চলবে। এর ফলে ঘুষ-দুর্নীতি আর থাকবে না। আমাদের দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু আছে তা আমরা তৈরি করিনি। নবাবী আমল, ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল বিভিন্ন সময়ে যে ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছিল সেটাই চলে আসছে। ওইসব সরকারের সময় ভূমি ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা দুর্নীতি ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, ইস্কান্দার মির্জা সরকার আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামল থেকে সকল সামরিক শাসনের সময় ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির শেকড় গেড়েছে। এই ভূমি ব্যবস্থাপনার দুর্নীতি দূর করতে না পারলে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ভূমি ব্যবস্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন করা হচ্ছে। এই আধুনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি থাকবে না। ঢাকায় ধূলি দূষণ মান মাত্রার তিনগুণেরও বেশি রাজধানী ঢাকা শহরে ধূলি দূষণের পরিমাণ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭-এর মানমাত্রা অপেক্ষা তিনগুণেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
×