ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়াতেও সাফল্য চান কৃষ্ণারা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১০ জুলাই ২০১৭

দক্ষিণ কোরিয়াতেও সাফল্য চান কৃষ্ণারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ মহিলা ফুটবল দল গত কয়েক বছর ধরেই দারুণ সাফল্য পাচ্ছে। এ কারণে দলটিকে নিয়ে বড় স্বপ্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। ওই আসরে তৃতীয় হতে পারলেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে কৃষ্ণা, স্বপ্না, সানজিদারা। যে আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। গুরুত্বপূর্ণ এই আসরের প্রস্তুতির লক্ষ্যে এবার দক্ষিণ কোরিয়া গেল বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ মহিলা ফুটবল দল। ট্রেনিং ক্যাম্প ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে রবিবার রাতে দেশ ছেড়েছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। গত কয়েক মাসে জাপানে দুইবার, সিঙ্গাপুর ও চীনে একবার করে সফর করে এসেছে এই দলটি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের মিশন কোরিয়া। এই সফরে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে কৃষ্ণা রানী সরকারের দল। আগের সফরের ভুলগুলো শুধরানো মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। তাছাড়া নিজেদের কতটুকু উন্নতি হয়েছে এটাও দেখতে চান কোচ ছোটন। দেশ ছাড়ার আগে রবিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ছোটন বলেন, আমরা জাপানে চারটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম। কোরিয়াতেও আমরা চারটা ম্যাচ খেলব। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে আমাদের যে ভুলগুলো হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এই সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার অনুর্ধ-১৬ দলের সঙ্গে যে ম্যাচটা আছে এটা আমাদের জন্য পরীক্ষার একটা সুযোগ। বাংলাদেশ কোচ বলেন, আমাদের মেয়েরা চীন, জাপান ও সিঙ্গাপুরে যে ম্যাচগুলো খেলেছে সেগুলোর মূল পরীক্ষা এই সফরে হবে। কেননা আমি মনে করি জাপান ও উত্তর কোরিয়ার কাছাকাছি দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ায় মেয়েদের ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে এবং বোঝা যাবে ১৭টার মতো প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আমরা কতচুকু শিখতে পেরেছি। মঙ্গলবার কোরিয়ার অনুর্ধ-১৬ দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের মেয়েদের। ভ্রমণক্লান্তির পর কেমন করবে দল সেটা নিয়ে কিন্তু আছে। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না ছোটন। তিনি বলেন, আমরা জাপানে যে দলগুলোর সঙ্গে খেলেছি, ওখানে আমরা ফর্মেশন নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের মেয়েরা একটা পজিশনে খেলে অভ্যস্ত, অন্য পজিশনে খেলতে বললে তারা অস্বস্তি অনুভব করে। আমরা ওগুলো নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আমি মনে করি, যেহেতু কোরিয়ার অনুর্ধ-১৬ দলের বিরুদ্ধে এবার খেলব, জাপানে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি তার ফলটা আমরা পাব। ২৩ জনের দল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া ছোটন আপাতত থাইল্যান্ডের মিশন নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না। তবে শিষ্যদের সামর্থ্যরে ওপর আস্থা রাখছেন। বলেন, অনুর্ধ-১৬’র কোয়ালিফাইয়ের সময় মেয়েদের যে শক্তি, স্ট্যামিনা ছিল, এখন তা তারচেয়ে অনেক ওপরে। আমি মনে করি, শারীরিকভাবে মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী এবং টেকনিক্যালি ও টেকটিক্যালি আরও ভাল হয়েছে। তবে থাইল্যান্ডের প্রতিযোগিতায় আমাদের বাস্তবতাও বুঝতে হবে। আমাদের গ্রুপে থাকা উত্তর কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন, জাপান রানার্সআপ এবং তারা সেরা দল। আশাকরি, আমরা জানান দিতে পারব বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। অধিনায়ক কৃষ্ণা রানীও ভাল কিছু করার প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা জাপানে দুইবার, চীন ও সিঙ্গাপুরে একবার করে গেছি। এবার আমরা কোরিয়া যাচ্ছি। সেখানে ভাল কিছু করার চেষ্টা করব। জাপানে যেহেতু কিছু ভুলত্রুটি ছিল। কোরিয়াতে সেগুলো শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব। এজন্য আমরা অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি।
×