ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বেহাত জমি উদ্ধারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১০ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বেহাত জমি উদ্ধারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ শিক্ষা বোর্ডের বেহাত হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার, যুদ্ধাপরাধীদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ অনুমোদন এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে শিক্ষা বোর্ডের শূন্যপদে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং পোষ্যদের নিয়োগের দাবিও তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমিনের কাছে রবিবার সকালে এ স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেনÑ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ইদ্রিস, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, মোস্তফা কামাল, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, রমিজ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, নীপেন্দ্র কুমার সেনসহ প্রায় ৩০ মুক্তিযোদ্ধা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড যাত্রা করার পর থেকেই স্বার্থান্বেষী মহল এ যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর ধরে বোর্ডের বিভিন্ন পদ দখলে রেখে অনিয়ম দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। শিক্ষা বোর্ডের জন্য নামমাত্র মূল্যে সরকারের বরাদ্দ দেয়া ৩ দশমিক ৯৮ একর জমির মধ্যে ১ একর জায়গা বেহাত রয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে নির্বাচিত বিএনপির তৎকালীন নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের (বেগম জিয়ার বড় বোনের মেয়ে) এক একর জায়গা ছেড়ে দিয়ে শিক্ষা বোর্ডকে অবশিষ্ট জায়গা রেজিস্ট্রি প্রদান করে তৎকালীন সরকার। শিক্ষা বোর্ডের ওই এক একর জমিতে বর্তমানে ‘ফসিল’ নামে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু রয়েছে। অথচ, সেখানে হওয়ার কথা ছিল একটি মডেল স্কুল এবং কলেজ। এছাড়া শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলামকে এক সময়ের ছাত্র শিবির এবং পরবর্তীতে ছাত্রদলের ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষবাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি একটি বিশাল সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র সৃষ্টি করেছেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ দিয়েছেন।
×