ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাংনীতে সালিশের নামে নারী নির্যাতন ॥ গ্রেফতার ১৩

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১০ জুলাই ২০১৭

গাংনীতে সালিশের নামে নারী নির্যাতন ॥ গ্রেফতার ১৩

সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ৯ জুলাই ॥ গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে সালিশের নামে গৃহবধূ ও যুবকের নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। শনিবার নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় মামলা করেছেন। রবিবার দুপুর পর্যন্ত নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত এক ইউপি সদস্য ও কাজিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হামিদ ও একই গ্রামের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) রমজান আলীর ছেলে শিহাব উদ্দীনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নির্যাতিতা গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রাম্য মাতব্বর কিংবা জনপ্রতিনিধিদের এ ধরনের বিচার করার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া নির্যাতন করাত অন্যায়। ভিডিওফুটেজ ও ছবি নির্যাতনের বড় প্রমাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলা করেন। সালিশের নামে নির্যাতনকারীদের ১৭ জনকে তিনি আসামি করেছেন। গ্রেফতার ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বিচারকদের একজন।
×