ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধুপুরে ৮ ইউপি নির্বাচন ১৩ জুলাই ॥ পরিচয় সঙ্কটে ৬৫৬ ভোটার

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১০ জুলাই ২০১৭

মধুপুরে ৮ ইউপি নির্বাচন ১৩ জুলাই ॥ পরিচয় সঙ্কটে ৬৫৬ ভোটার

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৯ জুলাই ॥ আগামী ১৩ জুলাই মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৬ সালে মধুপুর ও ধনবাড়ী আলাদা উপজেলা হওয়ার পর মধুপুরে ৬টি ইউনিয়নের তিনটি ভেঙ্গে ৮টি হয়েছে। তিনটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে পুনর্গঠনে ৮টি ইউনিয়ন হওয়া, এলাকা পুনর্গঠন, নতুন সীমানা তৈরি, ভোটার তালিকা তৈরিকরণ এসব মিলিয়ে অনেক প্রতীক্ষার পর এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গত ৪ জুন তফসিল ঘোষিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, স্বতন্ত্রসহ চেয়ারম্যান পদে ২৯, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৬ এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৫৯ জন মিলে মোট ৩৬৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী উপজেলার আউশনারা ভেঙ্গে হয়েছে আউশনারা, মহিষমারা ও কুড়ালিয়া ইউনিয়ন। পুরাতন-নতুন মিলে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এবারই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত গেজেটে আউশনারা ইউনিয়নের হলুদিয়া গ্রামের অবস্থান ও বসতভিটা ওই ইউনিয়নের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকায় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের আউশনারা ইউনিয়নের ভোটার হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু গত ৪ জুন নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সময় হলুদিয়া গ্রামের বোকারবাইদ খাঁপাড়া, বোকারবাইদ পশ্চিম অংশ, কৈয়াপাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ মহিষমারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। গেজেটে আউশনারা ইউনিয়ন আর নির্বাচন তফসিল ঘোষণায় ভোটার তালিকায় মহিষমারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় হলুদিয়া গ্রামের ওই চার অংশের ৬৫৬ ভোটার বিপাকে পড়েছেন। কোন ইউনিয়নের কিংবা কোন ওয়ার্ডের নাগরিক এ নিয়ে তারা এখন অনেকটা পরিচয় সংকটে ভুগছেন। এ নিয়ে ওই এলাকার ভোটারদের মধ্যে প্রচ- ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাবা-মাকে পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে অপহরণ নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ৯ জুলাই ॥ বাবা-মাকে পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আবিরনগর এলাকার কাশেম ড্রাইভারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত অপহৃতার পিতা আবুল কাশেম ড্রাইভারকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মা কুলসুম বেগমকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপহৃত কলেজছাত্রী ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। অপহৃতার মা জানান, তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির লেংড়া খোকনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে তার মেয়ে কলেজছাত্রী সুইটি আক্তারকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমরা আমাদের বশতঘরের পার্শ্ববর্তী রান্না ঘরে রাতের খাবার খেতে ছিলাম। তখন আমার মেয়ে সুইটি আক্তার আমাদের ঘরে ছিল। এ সময় হেলাল উদ্দিন ১৫-২০ সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের রান্না ঘরের দরজা বাইর থেকে বন্ধ করে দিয়ে আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় মেয়ের শোর চিৎকার ও ঘোংরানির আওয়াজ পেয়ে আমরা রান্না ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বের হয়ে অপহরণকারীদের বাধা দিলে তারা আমার স্বামী এবং আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
×