রূপনগরের বাসা থেকে এসআই ও স্ত্রীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় একটি বাসা থেকে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত এসআই আব্দুস সাত্তার (৩২) বাড্ডা থানায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুরের রূপনগরের ২২ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাড়ির ছয়তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে রূপনগর থানার ওসি শহিদ আলম জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাবিবুল হাসান রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, সাত্তারের সঙ্গে নিহত শম্পা (২৮) তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায় এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর খালাত বোন শম্পার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই এসআইয়ের প্রথম স্ত্রীর ঘরে ১০ ও ৬ বছরের দুটি ছেলে রয়েছে। এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওসি শহীদ জনকণ্ঠকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এসআই সাত্তার নিজের সরকারী অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে গুলি করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। আমার ধারণা পারিবারিক হতাশা থেকে এটা ঘটতে পারে। তবে সাত্তারের প্রথম স্ত্রী দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অন্য বাসায় থাকেন। বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, সাত্তার সহকারী উপ-পরিদর্শক থেকে সম্প্রতি উপ-পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পেয়েই গত ২৫ জুন বাড্ডা থানায় যোগ দেন। সাত্তার এর আগে মিরপুরের দারুস সালাম, শাহ আলী ও পল্লবী থানায় দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সূত্র জানায়, নিহত আব্দুস সাত্তার ও স্ত্রী শম্পা উভয়ের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে হত্যার পর নিজে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, কনস্টেবল গ্রেফতার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আরিফ নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আরিফ তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। শুক্রবার রাতে তেজকুনিপাড়ার ১৪৮ নম্বর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, আরিফের স্ত্রী তামান্নার অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে আরিফ প্রায়ই তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকেও এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আরিফ উত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি তেজগাঁও থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওসি জানান, ওই মামলায় আরিফকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।