ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হোসাইন ইমরান

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছোটমণিদের সঙ্গে একদিন

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ৯ জুলাই ২০১৭

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছোটমণিদের সঙ্গে একদিন

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের আনন্দ যতটা না বড়দের, তার চেয়ে বেশি পরিপূর্ণতা পায় ছোটদের মাধ্যমে। নতুন নতুন পোশাক ও নতুন নতুন উপহারে পুরো ঈদটাই যেন মাতিয়ে রাখে এইসব নিষ্পাপ মুখগুলো। তবে এ আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যায় এতিমখানা কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারী মানুষগুলোর কাছে। ঈদের দিনে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সেমাই কিংবা নতুন কাপড় মিললেও ঈদের প্রকৃত আনন্দ মিলে না এইখানে। এই ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বরাবরের মতো অন্যভাবে উদযাপন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নত্থান। সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত সিলেট শহরে এতিম ও অনাথ শিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘ছোটমণি নিবাসে’ ২৪ জুন (২৮ রমজান) মেহেদী উৎসব ও উপহার বিতরণের মাধ্যমে উদযাপন করে এই সংগঠনটি। ‘আমাদের ছোটবেলায় ঈদ মানেই ছিল মেহেদী পরার জন্য কাজিনদের পিছনে লাইন দিয়ে থাকা, কার হাতের ডিজাইন বেশি সুন্দর হলো সেটার প্রতিযোগিতা। তবে নির্মম বাস্তবতায় বড় হতে থাকা এসব বাচ্চার সেই হাতের অভাব কখনও পূরণ করা যাবে না। তবুও চাইলেই ওদের ঈদের আনন্দটাকে একটু হলেও হাসিখুশিভাবে সম্পন্ন করা যাবে এই ভেবেই এই আয়োজন বলে জানান স্বপ্নত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দায়িত্বে থাকা ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আফসানা মিমি ও বীথি দেবী। তারা জানান, ছোটমণি নিবাসের মোট ৫২ শিশুর জন্য মেহেদী, খেলনা, ক্লিপ, চুড়ি, খেলনা গাড়িসহ নানাবিধ উপহার সামগ্রী কিনে আনা হয়। শনিবার সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে ছোটোমণি নিবাসে। এর হাতে মুখোশ, ওর হাতে মেহেদী ওর হাতে চকলেট ওর হাতে খেলনা দিতে দিতেই সারাদিন কেটে যায় এই স্বেচ্ছাসেবকদের। রমজানের শেষদিকে স্বপ্নত্থানের বেশিরভাগ সদস্য সিলেটের বাইরের হওয়ায় ছোটমণি নিবাসে ঈদ আনন্দ এখানকার স্থানীয় সদস্যদের মাধ্যমেই হয়। এবার বিশের অধিক স্বেচ্ছাসেবী যোগ দেন এই মেহেদী উৎসবে। স্বপ্নত্থানের প্রধান উপদেষ্টা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. রাশেদ তালুকদারও ছিলেন এ আয়োজনে। ছিলেন সাবেক শাবি শিক্ষার্থী জৈন্তাপুর কলেজের শিক্ষিকা তুলি আপু। ছিলেন গালিব ভাই, ডা. মৌরি, ডলি আপু, আতাউর, নীলাঞ্জনা, মার্জিয়া, তাহসিন ইজু, দ্যুতি, মাহিনসহ আরও অনেকে। স্বপ্নত্থানের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী কবির বলেন, এই ছোট বাচ্চাদের উপহার পাওয়ার পর কিংবা মেহেদী লাগানোর পর চোখে মুখে যে আনন্দের ঝিলিক, তাতেই আমাদের ঈদ উপহার হয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর যাবত তারা এ ধরনের কাজ করে আসছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
×