ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিএনজি অটোর অতিরিক্ত জমা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার দাবি

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৯ জুলাই ২০১৭

সিএনজি অটোর অতিরিক্ত জমা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী আদেশ অমান্য করে ৯০০ টাকার অতিরিক্ত দৈনিক জমা আদায়কারী অটোরিক্সা মালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনাসহ ১০ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী থ্রি-হুইলার লাইসেন্সধারীদের মধ্যে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার অটোরিক্সা দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া, প্রকৃত থ্রি-হুইলার লাইসেন্সধারীদের মধ্যে অটোরিক্সা বিতরণ, অতিরিক্ত জমা আদায়কারী মালিকদের অটোরিক্সার প্রতিস্থাপন বাতিল, প্রাইভেট অটোরিক্সা নামে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা, গাজীপুর-মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় নিবন্ধনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রাজধানীতে চলাচল বন্ধসহ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা, মোটরযান আইন অমান্য করে আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবন্ধনবিহীন অটোরিক্সা বিক্রয়লব্দ টাকা ক্রেতাকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা, এ্যাপসভিত্তিক পরিবহনসেবা বন্ধ করা, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে হালকা যানবাহনকে যুক্ত করা, অটোরিক্সা চুরি, ছিনতাই ও চালক হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, কর্তব্যরত চালকরা হত্যার শিকার হলে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নানামুখী সঙ্কটের মধ্য দিয়ে অটোরিক্সার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা দিন কাটাচ্ছেন। অথচ আমরা বারবার সমস্যাগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। তারা বলেন, ট্রাফিক সার্জেন্টরা অহেতুক অটোরিক্সা চালকদের হয়রানি করে যাচ্ছে। কারণে অকারণে গাড়ি রেকারে দেয়া হচ্ছে। এতে চালকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। যদি বিষয়টি পুলিশ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তবুও প্রতিকার মিলছে না। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে অটোরিক্সা রাখার জন্য পার্কিং বোর্ড স্থাপনের দাবি জানিয়ে নেতৃবন্দ বলেন, গাড়ি রাখার কোন জায়গা এই শহরে নেই। চালকরা ইচ্ছেমতো গাড়ি রাখছেন। এতে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে সকল গণপরিবহন রাখার নির্ধারিত স্ট্যান্ড রয়েছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন-বিআরটিএ মিলে ইচ্ছে করলেই নগরীতে কয়েকটি স্ট্যান্ড করে দিতে পারে। এতে পরিবহন সেক্টরও শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে বলেও মনে করেন তারা।
×