ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরএসও জঙ্গী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৯ জুলাই ২০১৭

আরএসও জঙ্গী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন আরএসওর সাবেক সামরিক কমান্ডার খ্যাত ও ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শফি উল্লাহসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রায় সাড়ে চার বছর পর তদন্ত শেষে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে পরিবেশ অধিদফতরের দেয়া ওই প্রতিবেদনে একই মামলার এজাহারে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোঃ বাদলকে বাদ দিয়ে শহরের চন্দ্রিমা গেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হোসেন ও জলিল আহম্মদের পুত্র ফরিদ আহম্মদ কাম্পানি পাহাড় কাটলেও বর্তমানে তাদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের স্পেশাল পিপি মোঃ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন তারা হলেনÑ কক্সবাজার সরকারী কলেজের পেছনে স্থাপিত ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শফি উল্লাহ, কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার শাহ আলমের ছোট ভাই মোঃ সোলতান, কলাতলী দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সমিতির সভাপতি জহির সওদাগর, পাহাড়তলির মোঃ সৈয়দ ড্রাইভারের পুত্র আব্দুল হক, আব্দুল মোতালেবের পুত্র মুহিউদ্দিন, মোহাম্মদের পুত্র মোঃ আমিন, মৃত রশিদ উজ্জামানের পুত্র মনিরুজ্জামান, দক্ষিণ ঘোনারপাড়ার মৃত জামাল আহম্মদের পুত্র মোঃ আমিন। জানা যায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কারণে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে এ মামলাটি করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম ইব্রাহিম খলিল মামুন। মামলার বাদী বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে যাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা সবাই কক্সবাজারের বাসিন্দা। তাই তাদের এবং বাদ পড়া টুয়াকের আহ্বায়ক বাদলকে চার্জশীটভুক্ত করার জন্য আদালতে দেয়া এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়া হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, তদন্তে যা পাওয়া গেছে তাই আদালতে জমা দিয়েছি।
×