ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৭ কোটি বছর আগের কুমিরের জীবাশ্ম

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৯ জুলাই ২০১৭

১৭ কোটি বছর আগের কুমিরের জীবাশ্ম

দেখতে যেন ডাইনোসর। কিন্তু আদতে অতিকায় কুমির। ওই দানবাকৃতির কুমিররা ‘রাজত্ব’ করত আজ থেকে প্রায় ১৭ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগে। আধুনিক কুমিরের সঙ্গে ওই সময়ের কুমিরের পার্থক্য অনেক। ওই কুমিরদের মাথার খুলির গঠন এবং চোয়ালে ধারালো দাঁতের সারি গ্রাগৈতিহাসিক যুগের সবচেয়ে বড় মাংসাশী প্রাণী টিরানোসরাস রেক্সের কথা মনে করিয়ে দেয়। সম্প্রতি এমনই দানব কুমিরের একটি জীবাশ্মের হদিস মিলেছে আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। ওই প্রজাতির কুমিরের বৈজ্ঞানিক নাম- ‘রাজান্যানড্রনগোবে সাকালাভি’ ওরফে ‘রাজানা’। ওই অতিকায় কুমিরের জীবাশ্মের গঠন পরীক্ষা করে ‘পির জে’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালে গবেষকরা লিখেছেন, ‘রাজানা’ কুমিরেরই একটি বিশেষ প্রজাতি। তবে অনেক বেশি হিংস্র এবং তুখোড় শিকারি। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মাংসাশী ডাইনোসরদের সঙ্গেই এরা গোটা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াত। হিংস্র ‘রাজানা’রা লম্বায় ছিল ২৩ ফুট। দেহের ওজন ১ হাজার ৭৬০ পাউন্ড থেকে ২ হাজার ২০০ পাউন্ডের মধ্যে। মানে, প্রায় হাজার কেজির কাছাকাছি। শক্ত পেশি, গভীর এবং সুবিশাল চোয়ালে ধারালো দু’সারি দাঁত দিয়ে নিমেষের মধ্যে শিকারের মাংস এমনকি, হাড় পর্যন্ত গুঁড়িয়ে ছাতু করে দেয়ার ক্ষমতা রাখত ওই দানব কুমির। ২০০৬ সালে প্রথম ওই প্রজাতির কুমিরের কিছু দাঁত ও হাড়ের টুকরো খুঁজে পান ইতালির জীবাশ্মবিদ সিমোনে ম্যাগানুকো, ক্রিশ্চিয়ানো ডাল স্যাসো এবং গিওভান্নি পাসিনি। সেগুলি পরীক্ষা করে তাদের ধারণা হয়েছিল, ‘রাজানা’রা আদতে ডাইনোসরেরই কোন প্রজাতি। দীর্ঘদিন এই প্রজাতির কুমিরদের নিয়ে গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মাদাগাস্কারে ‘রাজানা’র সম্পূর্ণ জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন তারা। সেই জীবাশ্ম পরীক্ষা করেই ওই প্রজাতির কুমিরের নাক, চোয়াল, খুলি এবং হাড়ের গঠনটা বুঝতে পেরেছেন গবেষকরা। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×