ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অচেনা রোগে শরীরে পচন ধরেছে শিশু মুক্তার, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৯ জুলাই ২০১৭

অচেনা রোগে শরীরে পচন ধরেছে শিশু মুক্তার, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ১১ বছরের শিশু মুক্তা। দেড় বছর বয়স থেকে ডান হাতের কনুইয়ের ওপর একটি গোটা আকৃতির ফোলা নিয়ে সমস্যা শুরু তার। আর এই সমস্যায় এখন শরীরে পচনের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পোকা জন্ম নিচ্ছে। দেশের কোন ডাক্তারই এই রোগ চিহ্নিত করতে পারেননি। টিউমার। হাড়ের ক্যান্সার। রক্ত টিউমার। বোন টিবি। হাড়ে ইনফেকশন। একেক সময় একেক চিকিৎসক একেক রকম বলেছেন। ওষুধও দিয়েছেন একেক রকম। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ্যান্টিবায়োটিক চলেছে বছরের পর বছর। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। প্রতিনিয়ত যন্ত্রণায় ছটফট করছে মুক্তা। তার ডান হাতের বিশালাকৃতির মাংসপি-ে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মুক্তা কি রোগে আক্রান্ত তা নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা। আর মেয়ের রোগ সারাতে যশোর, খুলনা ও ঢাকার চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদাহ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতি। মেয়ের চিকিৎসায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেছেন তারা। এখন সর্বস্বান্ত হয়ে শুধু প্রার্থনাই শেষ সম্বল তাদের। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এই অসহায় বাবা মা প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন। মুক্তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, তার তিন ছেলে-মেয়ে। মেয়ে দুটো জময। হিরা ও মুক্তা। আর ছেলে আল-আমিনের বয়স এক বছর তিন মাস। ইব্রাহিম হোসেন বলেন, দেড় বছর বয়সে মুক্তাকে কোলে নিলে তার ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে ব্যথা অনুভব করত। এরপর কনুইয়ের ওপরের দিকের চামড়ার ওপর হাত দিলে একটা গোটা মতো অনুভব করা যেত। প্রথমে হোমিও চিকিৎসা করিয়েছেন। এতে কিছুদিন ভাল থাকত। ওষুধ বন্ধ করে দিলে আগের অবস্থায় ফিরে যেত। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন মুক্তার বয়স ৬-৭ বছর না হলে রোগ নির্ণয় করা যাবে না। এই কথা শুনে আর হাসপাতালে নেয়া হয়নি। মুক্তার বয়স যখন ৬ বছর, তখন তাকে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। একেকজন একেক রকম বলেছেন। কিন্তু কেউ রোগ ধরতে পারেননি। পরে তাদেরই পরামর্শে যশোর, খুলনা ও ঢাকার আরও অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখায়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। এরই মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র হাতে, বুকের একাংশে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেয়ের সুচিকিৎসার আকুতি জানিয়েছেন মুক্তার বাবা-মা।
×