ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশনের গাফিলতিতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট বাতিল

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৯ জুলাই ২০১৭

ফেডারেশনের গাফিলতিতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট বাতিল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বশেষ ২০১৬ সালে নেপাল ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ মাতিয়েছিলেন শাপলা-এলিনারা। এরপর দীর্ঘ আট মাস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার সুযোগ পাননি শাটলাররা। ফেডারেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জ বাতিল করে দিয়েছে ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন। এর ফলে আরও দীর্ঘ হলো শাপলাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য অপেক্ষা। টুর্নামেন্ট শুরুর নয় মাস আগে বিডব্লিউএফ স্বাগতিক হতে যাওয়া দেশকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাঠায়। সে নিয়মে এবারও সেটি বাংলাদেশে এসেছিল। কিন্তু ওই ই-মেইল নাকি খুলেই দেখেননি ফেডারেশনের ‘সুযোগ্য’ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ভেন্যুটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে ব্যাডমিন্টনের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থা। গত বছর নেপাল ইন্টারন্যাশনালে দুর্দান্ত খেলে ওমেন্স ডাবলসে তাম্রপদক জিতেছিলেন শাপলা-এলিনা। বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ানের সাফল্য ভুলতে বেশি সময় নেয়নি ফেডারেশন। এরপর দীর্ঘ আট মাস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আর কোন সুযোগ পাননি শাপলা। অপেক্ষা ছিল ঘরের মাঠে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জের। ফেডারেশনের ব্যর্থতায় সূচী থেকে সেটাও মুছে দিয়েছে ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পর হতাশা আছে ঘরোয়া ব্যাডমিন্টনেও। আগামী ২০ জুলাই জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবার কথা থাকলেও সূচী জটিলতায় অনিশ্চিত এই প্রতিযোগিতাও। ইনজুরিতে ছন্দ হারাচ্ছেন সিদ্দিকুর স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পিঠের পুরনো চোটে বারবার ছন্দ হারাচ্ছেন সিদ্দিকুর রহমান। গত সাত মাসে র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবনমন হয়েছে ৩২ ধাপ। নিজেকে ফিরে পেতে বাংলাদেশের এক নম্বর এই গলফার তাই ফিরে গেছেন কুর্মিটোলার জিমনেশিয়ামে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসরে ভাল করতে চান তিনি। সাকিব-তামিমদের শুধু ক্রিকেট বিশ^ চেনে, কিন্তু গলফার সিদ্দিকুরকে চেনে গোটা ক্রীড়া বিশ^। সেই অর্থে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। তবে চোট আর মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় বারবার ছন্দ কাটছে সিদ্দিকুরের। সর্বশেষ কুইন্স কাপে প্রথম দুই রাউন্ড শেষ করেন নয়ে থেকে। কিন্তু শেষ দুই রাউন্ডের ব্যর্থতায় আসর শেষ করেন ১৫তে থেকে। ৩২৮-এ থেকে শুরু করেছিলেন ২০১৭ সালে। এরপর সাত মাসে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন ৩২ ধাপ। কুর্মিটোলার যে জিমে সূত্রপাত চোটের, তিন বছর পর সেখানেই আবার ফিরেছেন তিনি নিজেকে ফিরে পাবার লড়াইয়ে। পাশাপাশি চলছে মনস্তাত্ত্বিক রিহ্যাব। দেশসেরা এই গলফারের পরবর্তী মিশন আগস্টেই ভারতের মাটিতে। তার আগেই সেরা ফর্মে ফেরার প্রত্যাশা সিদ্দিকুরের। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে ব্যস্ততা। কিন্তু এখনও সব কাজ সামলান নিজ হাতেই। চাপ কমাতে ব্যক্তিগত সহকারী নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তিনি। বিশ্ব সংস্থা থেকে অনুদান পাচ্ছে না এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবহেলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান হারানোর পথে বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। যোগাযোগ রক্ষা না করায় অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তবে সুদিন ফেরাতে কাজ শুরু করেছে এ্যাডহক কমিটি। বিশ্ব এ্যাথলটিক্স ফেডারেশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের। যার ফলে গত দুই বছরের অনুদান পাওয়া যায়নি। বিশ্ব সংস্থা থেকে পাওয়া অর্থের হিসেবেও স্বচ্ছতার পরিচয় দেয়নি কর্তারা। ২০১৩-১৪ সালে সর্বশেষ পাওয়া অনুদানের দলিল-দস্তাবেজেরও হদিস নেই। একজন এ্যাথলেটকে গড়ে তুলতে আইএএএফ প্রতি বছর খরচ করে ১৩ লাখ টাকা। সেই টাকাগুলোর কোন খবর নেই কর্মকর্তাদের কাছে। অর্থাভাবের অজুহাতে প্রতি বছর ন্যাশনাল মিটগুলো হয় দায়সারাভাবে। বন্ধ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচীও। যদিও কর্মকর্তাদের হেয়ালিপনায় ফেরত গেছে এনএসসির দেয়া ৮৯ লাখ টাকা। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় এ্যাডহক কমিটি। তবে মাত্র দশ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে কতটা সফল হতে পারবে বর্তমান কমিটি, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই কলঙ্ক মোচনের জন্য আরও কয়েকটা মাস অপেক্ষা করতে হবে ফেডারেশনকে। নিয়মিত অংশ নিতে হবে অন্তর্জাতিক আসরগুলোতে। পাঠাতে হবে প্রতি বছরের অডিট রিপোর্ট। তাহলেই বিবেচনা করে দেখবে বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স সংস্থা।
×