ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ফি কমানো হয় ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৯ জুলাই ২০১৭

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ফি কমানো হয় ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে শীঘ্রই ফি কমানো হবে । সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়ার পেছনে দু’টি কারণ অন্যতম উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে বিদেশে প্রবাসীদের সেটেল হয়ে যাওয়া, অন্য কারণ রেমিটেন্স ফি। শনিবার সকালে সিলেট শহরের নাইওরপুল এলাকায় নবনির্মিত ফোয়ারা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিদেশে প্রবাসীদের সেটেল হওয়ার হার বাড়ছে, তাই অনেকে টাকা কম পাঠাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সেটেলমেন্টের ব্যবস্থা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা সেখানে সেটেল হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে আগামী মাস থেকেই রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ফি কমানো হবে। অর্থমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, একটা অভিযোগ আছে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বেশি ফি দিতে হয়। তাই নামমাত্র ফি হবে। যদি তাতে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়। অর্থপাচার রোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পাচার সারা দুনিয়াতেই হয়। তবে রেটস অব গ্রোথ (পাচারের হার) আমাদের একটু বেশি। এর জন্য আমরাও দায়ী। আমরা এখানে জমির সরকারী মূল্য কমিয়ে রেখেছি। উদাহরণ স্বরূপ অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ এক কোটি টাকার জমি বিক্রি করলে সেখানে সরকারী দাম ৩০ লাখ, বাকি ৭০ লাখ কালো টাকা হয়ে যায়। তবে পাচার বন্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শীঘ্র জমির সরকারী দাম বাড়িয়ে বাজার দর করা হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এ কে আবদুল মোমেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন প্রমুখ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ বছরের মধ্যে এবছর কম রেমিটেন্স এসেছে। আর গত বছরের তুলনায় কমেছে ১৪.৪৬ শতাংশ। সিলেট অঞ্চলে প্রবাসীদের প্রেরিত টাকার বড় একটি অংশ বিনিয়োগ হয়েছে জমি জমা খরিদ বিক্রিতে। গত ১০ বছরে সিলেটে জমি বেচাকেনায় ধস নেমেছে। প্রবাসীরা এই সেক্টর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শহর-শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় গত ক’বছরে জমি রেজিস্ট্রেশন ফি অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেয়ার কারণ স্থানীয়ভাবেও জমি বেচাকেনা কমে গেছে। কোন কোন এলাকায় যে টাকা দিয়ে জমি কিনলেন, তার থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে হয়। যে কারণে অনেকের পক্ষেই জমি কেনা সম্ভব হচ্ছেনা।
×