ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশংসিত সীমান্ত সজলের ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৯ জুলাই ২০১৭

প্রশংসিত সীমান্ত সজলের ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধুমাত্র দুই অভিনেত্রীর অভিনয় দেখল নাট্যদর্শকরা। যেখানে নাটকের দর্শক ধরে রাখাই অনেক কষ্টসাধ্য সেখানে শুধু দুই অভিনেত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ হলো টিভি নাটকের দর্শকরা। আর এই কাজটি বেশ ভালভাবেই সম্পন্ন করেছেন তরুণ নির্মাতা সীমান্ত সজল। ভাল গল্প এবং নির্মাণ ভাল হলেও যে নাটক দর্শকরা দেখবে তার প্রমাণ আবারও দিলো এনটিভির বিশেষ নাটক ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’। শুক্রবার রাত ৯-০৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হয় একক নাটক ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’। জহির করিমের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন প্রতিভাবান তরুণ নির্মাতা সীমান্ত সজল। অন্তরীপ প্রোডাকশন্স প্রযোজিত বিশেষ এই নাটকটিতে মৃত্তিকা ও মারিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন লাক্স সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন ও মেহরিন ইসলাম নিশা। নাটকের গল্পে দেখা যায় ‘ত্রিশোর্ধ একজন স্মার্ট, টিপটপ ও সুখী রমণী মৃত্তিকা। সব সময় ব্যস্ত থাকেন একমাত্র সন্তান অর্পণ, ব্যবসায়িক স্বামী রেশাদ চৌধুরী তথা সংসার নিয়ে। অন্যদিকে মারিয়া গ্রেইগ একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। স্কটল্যান্ড পড়ার সময় কলকাতার বিশ্বজিৎ দত্তের সঙ্গে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়েটা বেশিদিন টেকেনি। তাই বাংলাদেশে ফিরে এসেছে সে। ইভেন্টের কাজ করতে যেয়ে মারিয়া গ্রেইগের সঙ্গে পরিচয় হয় রেশাদ চৌধুরীর সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হয়ে যায় মারিয়া। ঘটনাক্রমে মৃত্তিকা ও মারিয়া একটি রেস্টুরেন্টে গেলে তাদের মধ্যেও পরিচয় হয়। কারণ, দু’জন একই রকম শাড়ি পরেছে। তারাও জানে না, তারা দু’জনই অপেক্ষা করছে একই ব্যক্তির জন্য। ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’ প্রথম শুধুমাত্র দুটি নারী চরিত্রের আশ্রয়ে নির্মিত এক ঘণ্টার বিশেষ কাহিনীচিত্র ‘মৃত্তিকা ও মারিয়ার গল্প’। এই নাটকের মাধ্যমে মিডিয়া অঙ্গনে উদীয়মান তরুণ নির্মাতার যাত্রা শুরু হলো। প্রথম নাটকেই বাজিমাত করেছেন সীমান্ত সজল। এর আগে একাধিক মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করলেও এই প্রথম তিনি নাটক তৈরি করলেন। এই নাটকের সাফল্য এবং উৎসাহ তাকে পরবর্তী কাজে সহায়তা করবে। নিজের প্রথম কাজ প্রসঙ্গে সীমান্ত সজল, প্রথম কাজের অনুভূতি সত্যি দারুণ। গল্পটিও চমৎকার। বিশেষ করে অভিনেত্রী বাঁধন এবং নিশা চমৎকার অভিনয় করেছেন। কাজটি সবাই বেশ উপভোগ করেছেন জেনে আমার ভাল লেগেছে। আমার প্রথম কাজ হলেও অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এতটা সাড়া পাব ভাবিনি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।
×