ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় আজ নাট্যপুরাণের ‘অমাবস্যা’

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৯ জুলাই ২০১৭

শিল্পকলায় আজ নাট্যপুরাণের ‘অমাবস্যা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় তিন বছর আগে নাট্যপুরাণ মঞ্চে আনে নাটক ‘অমাবস্যা’। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ জানাতে ‘অমাবস্যা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়। ইতোমধ্যে নাটকটি ২৭টি প্রদর্শনী হয়েছে দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে নাটকটি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ২৮তম মঞ্চায়ন হবে। নাট্যপুরাণ প্রযোজিত এ নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর দত্ত। ‘অমাবস্যা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আকেফা আলম, রিমি আক্তার, ইলোরা, মিলি, মুনিয়া, নূর-ই-আলম সুমন, তুষার রায়, কাজী জিলানী, সারওয়ার হোসেন, শামীম, বিপ্লব, মেহেরাব, শাকিল, রিয়াজ, নয়ন, পাপেল, অমিত আচার্য্য হিমেল, খন্দকার হুমায়ুন, শংকর সরকার ও মাহফুজ। ‘অমাবস্যা’ নাটকের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে নাট্যকার ও নির্দেশক প্রবীর দত্ত জানান, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে আমরা আজ জর্জরিত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদের নাটক ‘অমাবস্যা’, যার মূল দর্শন প্রেমের স্বরূপে চেনা যায় স্রষ্টাকে। ছন্দের সঙ্গে তাল ও সুরের মায়া মিশ্রিত অপার্থিব আবহে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। যা সহজেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে। অমাবস্যা নাটকের পটভূমি, আখ্যানসহ বিষয় ভাবনা, পরিণতি অভিপ্রায় রিচ্যুয়াল এবং মিথকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে যার মধ্যে অন্তর্নিহিত আছে এক গভীর জীবনদর্শন। নাটকটিতে দেখা যায় নাটকে বর্ণিত বৃন্দাসাঁই গ্রাম একটি ভৌগলিক সাজেশন। বার মাসে তের পার্বণে উৎসব মুখর এই গ্রামে একটি কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যাশিশু মালতীকে লালন করে বড় করে তোলে নিঃসন্তান কানাই লাল দম্পতি। রূপেগুণে মালতী যেন রাজার কুমারী পরম সুন্দর তনু যেন বিধি অবতারীবাণিজ্যের সন্ধানে আসা ভিনদেশী যুবক সেলিমের সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় মালতী। দু’জনের সম্পর্কের মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় সমাজ ও ধর্ম। লোকলজ্জা ও কলঙ্কের ভয়ে মালতীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আত্মার সঙ্গে আত্মার বন্ধন কেউ পারে না ছিন্ন করতে। পতির বাধা, সমাজ এবং সংসারকে উপেক্ষা করে পতির কাছে দেহকে রেখে শুধু মন নিয়েই মালতী হাজির হয় সেলিমের কাছে। দেহকে বাদ দিয়েই আত্মার সঙ্গে হয় আত্মার মিলন। এই মিলন যেন জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার। প্রশ্নবিদ্ধ হয় মানব সমাজের মূর্খগণ-যাদের বহিরাঙ্গে খেলা করে পূর্ণিমা কিন্তু অন্তরে অমাবস্যার নিকষকালো অন্ধকার। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী। চমকপ্রদ কোরিয়গ্রাফি ও সুর-ছন্দের অপার্থিব মায়ায় নির্মিত অমাবস্যা মূলত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ- যার মূলদর্শন ‘প্রেমের স্বরূপে চেনা যায় স্রষ্টাকে’। প্রসঙ্গত, নাট্যপুরাণের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘অমাবস্যা’ ২০১৪ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। ইতোমধ্যে নাটকটির ২৭টি সফল প্রদর্শনী হয়েছে। আজ নাটকটির ২৮তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে।
×