ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এক কোটি রুপী পেয়ে সমালোচনার মুখে ইনজামাম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৮ জুলাই ২০১৭

এক কোটি রুপী পেয়ে সমালোচনার মুখে ইনজামাম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পুরস্কার সবসময় প্রশংসাই বয়ে আনে না। কখন সমালোচনার মধ্যেও ফেলে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাচক, সাবেক ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক তা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন। এক কোটি রুপী পুরস্কার পেয়ে এখন সমালোচনায় পড়েছেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর থেকেই আনন্দে ভাসছে পাকিস্তান। তাতে ক্রিকেটারদের ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হয়েছে। অর্থের ঝনঝনানি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ের সুবাদে একের পর এক পুরস্কারের ঘোষণা আসছে। পাকিস্তানী ক্রিকেটার এবং স্টাফরা সেইসব পুরস্কার পাচ্ছেন। বাদ যাননি নির্বাচকরাও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দলের সব সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন। প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকও পেয়েছেন এক কোটি রুপী। তাতেই সমালোচনার মধ্যে পড়ে গেছেন ইনজামাম। এই বোনাস অর্থই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির সাবেক এই অধিনায়কের জন্য। সমালোচনার কারণটা অবশ্য বৈষম্য। দলের অন্য নির্বাচকদের চেয়ে ইনজামামকে ১০ গুণ বেশি অর্থ দেয়া হয়েছে। দলের বাকি তিন নির্বাচক তৌসিফ আহমেদ, ওয়াসিম হায়দার ও ওয়াজাতুল্লাহ ওয়াস্তিকে দেয়া হয়েছে দশ লাখ রুপী করে। কিন্তু সেখানে ইনজামামকে দেয়া হয়েছে এক কোটি রুপী। যা অন্যান্য নির্বাচকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ক্রিকেটারদের এক কোটি এবং কোচদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ রুপী করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার, ফিজিও এবং অন্য সদস্যদের পুরস্কারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। মজার ব্যাপার হলো, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, লাহোরে ইনজামামের ঘনিষ্ঠ এক প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাবেই কোচ ও অন্যদের পুরস্কারের অঙ্ক কমিয়ে ইনজামামকে লাভবান করা হয়েছে। দলের বাকি স্টাফদের পুরস্কার হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে তা ইনজামামের তুলনায় কিছুই নয়। এ নিয়েই পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এমন দৃশ্যমান বৈষম্যে দলটির সাবেক প্রধান নির্বাচক ইকবাল কাসিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রধান কোচ এবং অন্যান্য স্টাফ যেখানে ৫০ লাখ করে পাচ্ছেন সেখানে প্রধান নির্বাচককে এই বিপুল অর্থ দেয়ার কোন মানে হয় না। আবার প্রধান নির্বাচক ও অন্যদের মাঝেও বৈষম্য করা হলো কেন?’ নির্বাচকদের পুরস্কার দেয়ারই কোন কারণ দেখছেন না দেশটির আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচক ও কোচ মহসিন হাসান খান। পুরো বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দল ভাল করলে প্রধান নির্বাচকদের আবার পুরস্কার দেয়া হয় কবে থেকে? নির্বাচকরা তো ইংল্যান্ডেই যাননি, দলের অবস্থা কিংবা দল নির্বাচনে কোন ভূমিকা রাখেননি। তারা কিভাবে পুরস্কার পান? এই অর্থ দলের উন্নয়নের কাজে লাগানো যেত।’
×