ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি আজও

নাসরিন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৮ জুলাই ২০১৭

নাসরিন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ আজ ৮জুলাই নাসরিন ট্র্যাজেডি দিবস। ২০০৩ সালে এদিন রাত ১১টায় এমভি নাসরিন-১ সহ¯্রাধিক যাত্রী ও মাত্রাতিরিক্ত মালসহ চাঁদপুর জেলার মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ডুবে যায়। সরকারী হিসাবে ওই লঞ্চডুবিতে ১১০ জনের লাশ উদ্ধার হয় ও ১৯৯ জনকে আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ওই সময় লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারের তালিকা প্রকাশ করেন। অনেক পরিবারের ২৫-৩০জন মারা গেছে। তবে বেসরকারী সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক বলেছে। ওই সময় লঞ্চের যাত্রীদের লাশ প্রশাসনের অবজ্ঞা আর অবহেলায় উদ্ধার না হওয়ায় ভোলার চরাঞ্চলে শিয়াল-কুকুরের খাবারে পরিণত হয়। এ নিয়ে তৎকালীন জনকণ্ঠে ‘ভোলার চরে আটকা লাশ খাচ্ছে শিয়াল-কুকুরে’ ব্যানার লিড ছাপা হলে সরকারের টনক নড়ে এবং দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর জনকণ্ঠের ভোলার সংবাদদাতাকে সেই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। এর পর সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনকণ্ঠের সংবাদের সত্যতা তুলে ধরা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ভোলা আইজীবী সমিতি ভবনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। এসব অভিযোগে ২০০৪ সালে ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে ১২১জন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট)। মামলার বিবাদী করা হয় সরকারী দফতর, লঞ্চ মালিক, সারেং, লঞ্চ মালিক সমিতিসহ ২১জনকে। ১৩ বছর পর চলতি বছরের ৫ জুন উচ্চ আদালত লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা প্রদানের ডিক্রী দেয়। প্রতি নিহত ও নিখোঁজের পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা এবং আহতের পরিবার পাবে এক লাখ টাকা। ভোলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান শাহজাহানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিজামুল হক। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদ, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদ নুরুল আমিন, এ্যাডভোকেট শাজাহান, রাধেশ্যাম দত্ত, জীবনানন্দ জয়ন্ত, মশিউর রহমান, ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা ও পরিচালক এসএম রেজাউল করিম, বরিশাল সমন্বয়কারী খলিলুর রহমান, ভোলা স্বার্থরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অমিতাভ অপু, আইনজীবী নজরুল হক অনু ও নিহত-নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা।
×