ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নারী-পুরুষ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৮ জুলাই ২০১৭

কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নারী-পুরুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ৭ জুলাই ॥ ‘ওই টাকা দিবা না ক্যান, টাকা দে’ মোটা গলায় বিশেষ ভঙ্গিতে হাততালি দিয়ে এভাবে টাকা তোলার দৃশ্য এখন সবার চেনা। পুরুষালী দেহে শাড়ি পরে কেরানীগঞ্জের বাসাবাড়িসহ রাস্তাঘাটে টাকা তোলে হিজড়া সম্প্রদায়। মানবিক দিক বিবেচনা করে এক সময় হিজড়ারা মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতত। সে দৃশ্য এখন বদলে গেছে। টাকা না দিলে মানসম্মান হারিয়ে হেনস্থা হতে হয় হিজড়াদের কাছে। বলছিলেন শুভাঢ্যার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুটপাথ, গণপরিবহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, অফিস কিংবা বাসাবাড়ি কোথায় নেই তাদের উৎপাত? ৪/৫ জন করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেরানীগঞ্জের সর্বত্র। কেউ টাকা দিতে রাজি না হলে চিৎকার, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, শরীরে হাত দিয়ে বিব্রত করা এমনকি নিজের কাপড় খুলে বিবস্ত্র হয়েও টাকা আদায় করে এরা। জিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা রাজধানীর এক কলেজের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন কদমতলী থেকে গুলিস্তান হয়ে কলেজে যেতে হয়। ব্রিজের ওপর বাস থামিয়ে প্রায়ই হিজড়ার দল উঠে পড়ে। বাসে উঠেই তারা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে, বিশ্রী গালাগালি করে। আমবাগিচা এলাকার গৃহবধূ সাবেরা খাতুন সবুজ বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার ২য় সন্তান (মেয়ে) ভূমিষ্ঠ হয়েছে। খবর পেয়ে একদল হিজড়া বাড়িতে এসে ভিড় জমায় এবং ৫ হাজার টাকা দাবি করে। বাধ্য হয়ে পরে তাদের ৩ হাজার টাকা ও নতুন জামা-কাপড় দিতে হয়েছে। তবে কয়েক হিজড়া জানান, কেউ আমাদের চাকরি দেয় না, কাজে নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়। আমরা হাততালি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা চাই, বন্দুক ধরে চাঁদাবাজি করি না।
×