ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৫ দিনের চেষ্টায় রাঙ্গামাটিতে মাত্র ৭ কিমি সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হলো

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ জুলাই ২০১৭

২৫ দিনের চেষ্টায় রাঙ্গামাটিতে মাত্র ৭ কিমি সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের পর পঁচিশ দিনের প্রাণপণ চেষ্টায় মাত্র ৭ কিলোমিটার সড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হয়েছে। গত দু’দিন বৃষ্টি না পড়ায় শুক্রবার সড়কের খামারপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর ধসে পড়া বড় পাহাড়ের মাটি সরাতে সক্ষম হয়েছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থাগুলো। এদিকে, তিন পার্বত্য জেলায় মোট প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু মুসা জানান, ২টি বুলডোজার ও একটি চেন ডোজার দিয়ে সড়কের ওপর থেকে দেড় কিলোমিটার মাটি সরানো হয়েছে। শনিবার থেকে কেচিং এলাকায় ধসে যাওয়া ৭০ ফুট সড়কে মাটি ভরাটের কাজ চলবে। এখানে একটি পাইপ কালভার্ট করা হবে বলে তিনি জানিয়েছে, আগামী ৩/৪দিনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হলে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। নানিয়াচর-বগাছড়ি এবং ঘাগড়া-বইছড়ি সড়ক এরই মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, রাজস্থলী বাঙ্গাল হালিয়া ও বান্দরবান সড়কে এখনও পাহাড়ধসের মাটি পুরোপুরি সরানো যায়নি বিধায় সেখানে এখনও ভারি যান চলাচল করছে না। আবহাওয়া ভাল থাকলে আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে এই সড়কগুলোর পুনঃসংযোগ স্থাপিত হবে বলে জানান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হোসেন। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি বেইলি ব্রিজের কাজও পুরোদমে চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এটির পাইপ বসানোর কাজ বেশ এগিয়ে গেছে। এদিকে ভয়াবহ বর্ষণে পাহাড় ধসে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ২৫ দিন পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক তালিকা প্রাকাশ করেছে। তালিকা অনুসারে দেখা যায়, তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে ১৩১ লোক মারা গেছে। এর মধ্যে শুধু রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬১ জন পাহাড়ী ও ৬০ জন বাঙালী রয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৩৭ জন। এই মহাবিপর্যয়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজার পরিবারের। এছাড়া অনেক রাস্তাঘাট, ফসল ও বাগানের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর রাঙ্গামাটি শহরের আকাশে সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অনেক পরিবার তাদের নিজ বাড়িঘরে ফিরে গেছে।
×