ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর তানোরে মারা হলো ১২৫ গোখরার বাচ্চা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ জুলাই ২০১৭

রাজশাহীর তানোরে মারা হলো ১২৫ গোখরার বাচ্চা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর তানোরের গ্রামে এবার পাওয়া গেল বিষধর ১২৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর জেলার তানোর পৌর এলাকার ভদ্রখ- মহল্লার কৃষক আক্কাছ আলীর রান্নাঘর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে এসব সাপ। স্থানীয়দের সহায়তায় সব সাপই রাতে মেরে ফেলা হয়েছে। গৃহকর্তা আক্কাছ আলী জানান, সন্ধ্যার পর তার স্ত্রী হাসনা বিবি রান্নাঘরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ঘরের মেঝেতে প্রথমে তিনটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে এগিয়ে যান গৃহকর্তা আক্কাছ আলী। পরে তার দুই ছেলে হাসিবুর রহমান ও আজিবুর রহমান এগিয়ে আসেন। তারা তিনজনে একে একে মেরে ফেলেন সাপগুলো। এর পর রান্নাঘরের কোণায় থাকা গর্তের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে আরো সাপ। সেগুলোও মেরে ফেলেন তারা। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সব মিলে তারা ১২৫টি সাপ মেরেছেন। পরে গর্ত খুঁড়ে বের করেন আরও ১৩টি সাপের ডিম। আক্কাছ আলী জানান, সাপগুলো এক থেকে দেড় ফুটের মতো লম্বা। কিছু কিছু আরও ছোট। কেবলই ডিম থেকে বেরিয়েছে। তারা মা সাপটিতে গর্ত থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। পুরনো মাটির বাড়ি হওয়ায় ইঁদুরের গর্তে ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে গোখরা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। ভয়ে ছেলেমেয়েরা বাড়িতেই থাকতে চাইছে না বলে জানান আক্কাছ আলী। মহল্লার কলেজছাত্র আল আমিন জানান, সন্ধ্যায় চেঁচামেচি পেয়ে তারা দৌড়ে যান ওই বাড়িতে। তারপর যা দেখেন তাতে চক্ষু ছানাবড়া। গিয়ে দেখেন ১২৫টি বাচ্চা সাপ মেরে ডালায় রেখেছেন গৃহকর্তা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে রাজশাহী নগরীর বুধপাড়া মহল্লায় গৃহকর্তা মাজদার আলীর বাড়িতে একে একে মারা পড়ে ২৭টি গোখরা। ওই বাড়িটিও পুরনো মাটিরবাড়ি। বৃহস্পতিবার সেখানে মারা পড়ে আরও একটি সাপ। এগুলোর সবই বাচ্চা সাপ। প্রতিটি লম্বায় আড়াই ফুটের মতো। সাতক্ষীরায় একটি বাড়ি থেকে ৫৬ সাপ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে জানান, একটি বাড়ি থেকে ৫৬টি পদ্মগোখরো সাপ উদ্ধার করে মেরে ফেলা হয়েছে। একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০টি সাপের ডিম। সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের মোঃ ছাত্তার থানদারের বাড়ি থেকে এ সাপ ও ডিমগুলো উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাত ১২টার দিকে মোঃ ছাত্তার থানদারের মায়ের হাতের ওপর একটি পদ্মগোখরো সাপ উঠে এলে এ সাপের সন্ধান মেলে। প্রথমে পাওয়া সাপটি মেরে ফেলা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে মোঃ ইসমাইল (১৬) ঘরের মেঝেতে আরও একটি সাপ দেখতে পায় এবং সেটিও মেরে ফেলা হয়। পরে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে একাধারে ৫৬টি সাপ বেরিয়ে আসে এবং ৫০টি ডিম সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে বাড়িটির চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
×