ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের ট্রেন আর মিস করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৮ জুলাই ২০১৭

নির্বাচনের ট্রেন আর মিস করতে চায় না বিএনপি

শরীফুল ইসলাম ॥ কোনভাবেই আর নির্বাচনের ট্রেন মিস করতে চায় না বিএনপি। যে কোনভাবেই নির্বাচন হোক না কেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নেবেই। এ জন্যই বিএনপির সকল কার্যক্রম এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক (নির্বাচনমুখী)। সূত্র মতে, বিএনপি যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সে বার্তাটি এখন দলের সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নির্বাচনের যোগ্য সব নেতাই এখন নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ যাতে নিজেদের অনুকূলে থাকে সেজন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। এসব কৌশল বাস্তবায়নে এখন থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে। আর এসব কৌশল বাস্তবায়নে নেপথ্যে বিএনপি হাইকমান্ডকে সহযোগিতা করছে এ দলের সমর্থক কিছু বুদ্ধিজীবী। মাঝেমধ্যেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ব্যাপী বৈঠক করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এ দল সব সময়ই নির্বাচনমুখী। তবে নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে এবং মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে এমন পরিবেশ চায় বিএনপি। এ জন্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। শীঘ্রই সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নির্বাচন সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। সহায়ক সরকারের রূপরেখা বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকারের দাবিতে সোচ্চার। দলের কিছু সিনিয়র নেতা ও কয়েক বুদ্ধিজীবীর সহযোগিতায় সহায়ক সরকারের রূপরেখা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে একটি নয় সহায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে একাধিক। পরিবেশ-পরিস্থিতি সাপেক্ষে যেটি বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হবে সেটিই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া। জানা যায়. বিএনপি এমনভাবে সহায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করছে যে সরকারে বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা যেন সক্রিয় না থাকে। তাদের রূপরেখায় এখন পর্যন্ত যেসব বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে তাতে প্রথমত রয়েছে শেখ হাসিনা যাতে নির্বাচনকালীন সরকারে না থাকে। দ্বিতীয়ত রয়েছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারে শেখ হাসিনা থাকলেও তিনি রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া যেন কিছুই করতে না পারেন। আর তৃতীয়ত নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কটি মন্ত্রণালয় যেন আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সহায়ক সরকারের একাধিক রূপরেখা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লন্ডন সফরের পর এ রূপরেখা চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন। সরকারের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা করছে বিএনপি। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণার পর সরকারের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা আরও জোরদার করা হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সরকারের সঙ্গে সংলাপ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে। আশা করি সরকার আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংলাপের আয়োজন করবে। সর্বস্তরে দল পুনর্গঠন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশের সর্বস্তরে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান জানিয়েছেন, তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ দ্রুতই শেষ হবে। এদিকে শীঘ্রই বিএনপির নির্বাহী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। স্থায়ী কমিটির ৩টি পদসহ শূন্য পদগুলোর জন্য সম্ভাব্য নেতাদের একটি খসড়াও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হাতে রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে এখনও যেগুলোর কমিটি পুনর্গঠন হয়নি সেগুলো দ্রুতই হয়ে যাবে বলে জানা যায়। প্রার্থী বাছাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় আসনের জন্য সম্ভাব্য ৩ জন করে মোট ৯০০ প্রার্থী বাছাই কাজ চলছে। এখান থেকে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। দলীয় প্রার্থী বছাইয়ের পাশাপাশি যেসব আসন জোটের শরিক দলকে ছাড়তে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাই প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির কমপক্ষে ৩ জন যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পরবর্তী নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেতে বিএনপি এখন ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা সমমনা দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে। জাসদ (রব), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যসহ কটি সমমনা দল জোটে না এলেও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও বিএনপি শুরু করেছে। দলের ক’জন অভিজ্ঞ সিনিয়র নেতা, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। তবে খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০’র আলোকেই এ নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিদেশ সফর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন কৌশল ঠিক করতে লন্ডন সফরে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি এ সফরকালে চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছুদিন একান্তে সময় কাটানো ছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমানের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়েও কথা বলবেন তিনি। এ মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি লন্ডন যাচ্ছেন। এ ছাড়া এ বছর নবেম্বরে তিনি ভারত সফরে যেতে চান। এ জন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু করেছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সবুজ সঙ্কেত পেলে ভারত সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবেন তিনি। কূটনৈতিক তৎপরতা নির্বাচন সামনে রেখে আবার নতুন গতিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। তবে অতীতে রাজপথে নেতিবাচক কর্মসূচী পালন করে বিদেশী কূটনীতিকদের সমর্থন না পাওয়ায় এবার নতুন উদ্যমে এ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েক সিনিয়র নেতা এবং ক’জন জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী এ তৎপরতায় সক্রিয় রয়েছেন। তারা ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের লন্ডন প্রবাসী ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিভিন্ন মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে সচেষ্ট রয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার প্রস্তুতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কি কি করা উচিত এমন কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে(ইসি) তুলে ধরবে বিএনপি। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। আগস্টে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপকালে লিখিতভাবে এসব প্রস্তাব তুলে ধরবে বিএনপি। সুষ্ঠুভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে বিএনপি যেসব প্রস্তাব তৈরি করছে তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করা, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সবার জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, নির্বাচনকালে সেনা মোতায়েন করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা, নির্বাচনের অন্তত এক মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সকল স্তরে রদবদল করা, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধন, প্রিসাংডিং অফিসারসহ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত সকল কর্মকর্তাকে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা প্রদান, ভোট কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জন্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের অবাধ সুযোগ রাখা, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ না করা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মামলার নামে হয়রানি না করা। জানা যায়, বিএনপির ক’জন সিনিয়র নেতা ও এ দল সমর্থক ক’জন বুদ্ধিজীবী মিলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রস্তাব তৈরির কাজ করছেন। আর তাদের সহযোগিতা করছেন অতীতে নির্বাচন কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ক’জন সাবেক আমলা। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার পরামর্শ করেছেন। এসব প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে দেয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে মিডিয়ার সামনেও তুলে ধরা হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধাণের দাবি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ অর্থাৎ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেভাবে সীমানা নির্ধারণ করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি এ দাবি জানিয়ে এসেছে। বিএনপি নেতারা মনে করেনে ওয়ান-ইলভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপির জন্য সহায়ক ছিল না। এ জন্যই বিএনপির জন্য বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করতে তারা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় সীমনা পুনঃনির্ধারণ করে। আর এ জন্যই বিএনপি এবার সে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যেভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা ছিল সেভাবে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি সংসদীয় এলাকা থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সীমানা পুনঃনির্ধানের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন পাঠাতেও বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ড, খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। ভিশন-২০৩০ ঘোষণা নির্বাচন সামনে রেখেই আগেভাগেই ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ১০মে জাঁকজমকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ভিশন ঘোষণা করেন তিনি। মূলত নির্বাচন সামনে রেখে জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ ভিশন ঘোষণা করা হয়। এ ভিশন প্রস্তুত করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করেন ক’জন জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কি কি করতে চায় তা ভিশনে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি দেশের মানুষ ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। জনসংযোগ কর্মসূচী বৃদ্ধি নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করতে এবার আগেভাগেই দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচী জোরদার করবে বিএনপি। এ জন্য শীঘ্রই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সফর শুরু করবেন। খালেদা জিয়াসহ প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সফরে গিয়ে সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখী করবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে সহায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত করা হবে। ইতোমধ্যেই জেলা সফর কর্মসূচীর কথা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ইতোমধ্যেই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। গণসংযোগকালে দলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি জোরদারের পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গতিশীল করার পরামর্শ দিতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া সহায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী দিলে তা যেন সঠিকভাবে পালিত হয় সে প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জনমত তৈরি করতে আমাদের সিনিয়র নেতারা সারাদেশে গণসংযোগ কর্মসূচী পালন করবে। চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে এ কর্মসূচী সফল করবেন।
×