ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র-কাতার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ॥ ম্যাটিস

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৮ জুলাই ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র-কাতার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ॥ ম্যাটিস

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বজায় রাখার কথা বৃহস্পতিবার পুনর্নিশ্চিত করেছেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে তিনি এটা নিশ্চিত করলেন। পেন্টাগন একথা জানায়। খবর এএফপির। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এ সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে কুয়েতের আমন্ত্রণে আগামী ১০ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কুয়েত সফর করবেন। ম্যাটিস কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ বিন মোহাম্মাদ আল-আতিয়াহর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় তিনি আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের ধরন নিয়ে আলোচনা করেন। পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ম্যাটিস ও আতিয়াহ যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এবং উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারে তাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেন। এতে আরও বলা হয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্কট নিরসনে পরবর্তী বৈঠকে এ অঞ্চলের সকল অংশীদার দেশ যাতে অভিন্ন উদ্দেশ্য তুলে ধরতে পারে ম্যাটিস সে বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। বিগত বছরগুলোর মধ্যে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ সঙ্কটে কাতারের বিরুদ্ধে চার দেশীয় অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে সৌদি আরব নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইয়েমেনে এক কোটি শিশুর জরুরী সহায়তা প্রয়োজন ॥ জাতিসংঘ জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, ইয়েমেনে প্রায় এক কোটি শিশুর জরুরী মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে দেশটি সৌদি জোটের অব্যাহত হামলার মুখে রয়েছে। খবর ইউএন নিউজ সেন্টারের। ইউনিসেফের ইয়েমেন দফতর এ বিবৃতি দিয়েছে। ফেসবুকের অফিসিয়াল পৃষ্ঠায় দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির বেশিরভাগ শিশুর মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, বিশুদ্ধ খাবার পানির প্রয়োজন। একই সঙ্গে কার্যকর পয়ঃনিষ্কাশন এবং শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী বলেছে, পরবর্তী বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে ইয়েমেনের এক কোটি ৭০ লাখের বেশি শিশু তা জানেই না। পাশাপাশি রাজধানী সানায় সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, কলেরার প্রকোপ ঠেকানোর অর্থ যোগান দেয়ার জন্য অপুষ্টি প্রতিরোধ কর্মসূচী থেকে অর্থ সরিয়ে নিয়েছে বেশিরভাগ ত্রাণগোষ্ঠী।
×