ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনায় দিল্লীর সায় নেই ॥ বন্ধ চলবে

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৮ জুলাই ২০১৭

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনায় দিল্লীর সায় নেই ॥ বন্ধ চলবে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং শহরের বন্ধ শিথিল করা নিয়ে বৃহস্পতিবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। দিল্লী গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আলোচনায় সায় না দেয়ায় বন্ধ চালিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর ফার্স্টপোস্ট অনলাইনের। মোর্চার আশঙ্কা বনশিথিল করলে দলের কট্টরপন্থীরা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করতে পারে। তাছাড়া বনতুলে নিলে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়বে। তাই মোর্চা নেতাদের চাপেই আপাতত বনচালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি আন্দোলন আরও তীব্র করার আহ্বান জানান হয়। যদিও বৈঠকে বিমল গুরুঙ্গ, জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিঙ্গ কিংবা জন আন্দোলন পার্টির (জাপ) নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী উপস্থিত হননি। মোর্চার পক্ষ থেকে বিনয় তামাঙ্গ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। ১৮ জুলাই আবার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়। তখন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান হয়েছে। বৈঠক শেষে বিনয় তামাঙ্গ বলেন, বনশিথিলের কথা অনেকে বলেছেন। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন বার্তা না পাওয়ায় বনধ চলবে। এদিকে পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন বামপন্থী বিধায়করা। তারা জিটিএ চুক্তির প্রতিলিপি দেখিয়ে রাজ্যপালকে জানান, জিটিএ কীভাবে কাজ করছে, তার পর্যালোচনার জন্য ত্রিপক্ষীয় কমিটি তৈরির কথা ছিল চুক্তিতেই। সেই কমিটির রিপোর্ট পেশ করার কথা বিধানসভায়। কিন্তু পাঁচ বছরেও কমিটি গড়া হয়নি। বাম বিধায়কদের অভিযোগ, রাজ্য বরং জিটিএর কাজে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি জটিল করেছে। রাজ্যপাল দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে গত দু’দিনে রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাম বিধায়কদের প্রতি রাজ্যপালের আশ্বাস, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তার সাংবিধানিক এখতিয়ারের মধ্যে যা করণীয়, তিনি করবেন। রাজ ভবন থেকে বেরিয়ে বাম পরিষদের নেতা সুজন চক্রবর্তী ও শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, পৃথক রাজ্যের দাবি সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। পাহাড়ে যেভাবে আন্দোলনকারীরা হিংসাত্মক কার্যকলাপ করছেন, তাও মেনে নেয়া যায় না।
×