ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

বজ্রপাতের ভবিষ্যদ্বাণী!

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৭ জুলাই ২০১৭

বজ্রপাতের ভবিষ্যদ্বাণী!

প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবীতে কত ঝড় হয় জানেন? প্রায় দু’হাজার! কোথায় কোথায় বাজ পড়েছে, তা থেকে ঝড়টা কোনদিকে যাচ্ছে, তা হিসেব করা যায়। এভাবেই বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেয়া যায়, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মেঘ করার আগেই বজ্রপাত হতে পারে। বজ্রপাত মানে কয়েক লাখ ভোল্টের একটি কারেন্ট, যার তাপ ৩০ হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা সূর্যের পাঁচগুণ বেশি। তাই বিজ্ঞানীরা বজ্রপাতের ভবিষ্যদ্বাণী করার চেষ্টা করেছেন। গবেষকরা একটি হাই টেনশান ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম বজ্রপাত সৃষ্টি করে দেখেছেন। পরীক্ষাগারের বজ্রের শক্তি প্রকৃতির বজ্রপাতের চেয়ে কোন অংশে কম নয়, কয়েক লক্ষ ভোল্ট। এর ফলে প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপ সৃষ্টি হয়, যা কিনা সূর্যের উপরিভাগের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। বজ্রপাত গবেষক ভল্ফগাং সিশাঙ্ক বললেন, ‘বহু বাড়িতে লাইটনিং কন্ডাক্টর লাগানো থাকে না। ফলে প্রায়শই বাজ পড়ে আগুন লাগে। হাই টেনশনের ফলে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের ক্ষতি হতে পারে।’ বিজ্ঞানীরা বসতবাড়ি ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জামকে বজ্রপাতের হাত থেকে আরও ভালভাবে রক্ষা করতে চান। অনেক সময় কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লেই ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ঠিক মতো কাজ করে নাÑ যেমন ইলেকট্রনিক এ্যালার্ম। সিশাঙ্ক জানালেন, ‘বজ্রপাতের সময় বিদ্যুতরেখার চারপাশে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক আবহ সৃষ্টি হয়, তার ফলে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামগুলিতে উচ্চ ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। এর ফলে যন্ত্রগুলো আর ঠিকমতো কাজ করে না।’ ইমেলে ঝড়ের পূর্বাভাস এমন এ্যান্টেনা তৈরি হয়েছে, যা বজ্রপাত চিনতে পারে। বজ্রপাত সতর্কতা পরিষেবাগুলো সময়মতো আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ইমেল, এসএমএস বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দেয়। এর ফলে কলকারখানা, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ইত্যাদি ব্যবস্থা নিতে পারে। কম্পিউটারের মাধ্যমে সারাদেশে কোথায় বজ্রপাত হচ্ছে, তার হিসেবও পরিমাপ রাখা হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সেই হিসেবে ধরা হয়। ইঞ্জিনিয়ার স্টেফান ট্যার্ন বলেন, এ্যান্টেনা দিয়ে বজ্রপাতের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল রেজিস্টার করা হয়। তা থেকে হিসেব করে দেখা যায়, কোথায় কত বজ্রপাত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, ডয়েচে ভেলে
×