ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাপানে পোডলস্কিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, এ্যাটলেটিকোতেই থাকছেন টোরেস, রিয়ালে নাম লেখালেন হার্নান্দেজ, রেকর্ড গড়ে আর্সেনালে লাকাজেত

শৈশবের ক্লাব এভারটনে ফিরছেন রুনি!

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৭ জুলাই ২০১৭

শৈশবের ক্লাব এভারটনে ফিরছেন রুনি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মধ্যবর্তী দলবদলের উত্তাপ ভালই শুরু হয়েছে। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলো এই সময়ে নিজেদের ঘাটতি পুষাতে নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত খবর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে পারেন ওয়েন রুনি। সাবেক ইংলিশ অধিনায়কের শৈশবের ক্লাব এভারটনে যাওয়া নাকি প্রায় নিশ্চিত। এদিকে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড লুকাস পোডলস্কি এবার পাড়ি জমিয়েছেন এশিয়ার দেশ জাপানে। তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারে ছেড়ে ৩২ বছর বয়সী এই তারকা নাম লিখিয়েছেন জাপানী ক্লাব ভিসেল কোবেতে। বৃহস্পতিবার কোবে এয়ারপোর্টে পোডলস্কিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পোডলস্কি বলেন, এখানে লীগ শিরোপা জয়ই আমার প্রধান লক্ষ্য। আমি চাই ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নিয়ে যেতে। অন্যদিকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফার্নান্ডো টোরেস আরও এক বছর এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে থাকা নিশ্চিত করেছেন। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ফ্রান্সের তরুণ ডিফেন্ডার হার্নান্দেজকে দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফ্রান্সের লিঁও থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের (ইপিএল) দল আর্সেনালে নাম লিখিয়েছেন আলেকজান্ডার লাকাজেত। ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লেখান রুনি। সে সময় ছেড়ে আসেন এভারটন, যেখানে ১৯৯৬ সালে শুরু হয়েছিল তার ফুটবলের হাতেখড়ি। ম্যানইউ কোচ জোশে মরিনহোর কাছে মাঝে মধ্যেই উপেক্ষিত রুনিকে আবারও টানছে সেই গুডিসন পার্ক। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, এ মৌসুমে এভারটনে ফেরার চেষ্টা করছেন ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ম্যানইউতে মরিনহো আসার পর থেকে অধিকাংশ সময় সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ককে। গত মৌসুমে ৩৯ ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ৮ গোল। গত জানুয়ারিতে স্টোক সিটির বিরুদ্ধে ১-১ গোলের ড্রর ম্যাচে স্যার ববি চার্লটনকে টপকে হয়ে যান ক্লাবের শীর্ষ গোলদাতা। কিন্তু মরিনহো তারদিকে সুনজর দেননি। মৌসুমের শুরুতে নিয়মিত একাদশে থাকলেও সেপ্টেম্বরের পর থেকে তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ ও ইউরোপা লীগ ফাইনালে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। এভাবে দর্শক হয়ে বসে থাকতে কারই বা ভাল লাগে! রুনি তাই ছেলেবেলার ক্লাবে ফিরতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। কারণ সামনের মৌসুমে নতুন সেন্টার ফরোয়ার্ড ও এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার যোগ দিলে তার ভাগ্য আরও প্রতিকূল হবে। জানা গেছে, সাপ্তাহিক আড়াই লাখ পাউন্ড বেতনে তাকে নেয়ার চিন্তা করছে এভারটন। আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকার কারণে আপাতত ধারে তাকে আনার চিন্তা করছে ক্লাবটি। অবশ্য স্থায়ী চুক্তির পথও খোলা রাখছে তারা। এরই মধ্যে কয়েকটি মিডিয়া এভারটনে রুনির জার্সি নম্বর উন্মোচিত করেছে। রোমেলু লুকাকু চলে যাচ্ছেন গুডিসন পার্ক থেকে। তারই ১০ নম্বর জার্সিটি নাকি এবার উঠছে রুনির গায়ে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত টোরেস থাকছেন এ্যাটলেটিকোতেই। এই ক্লাবটির ওপর এখনও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু কোচ দিয়াগো সিমিওনের অধীনে এ পর্যন্ত ট্রান্সফার মার্কেটে তারা নিজেদের খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে বেশ সফলও হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২০২২ সাল পর্যন্ত দলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন তারকা ফরোয়ার্ড এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান। চুক্তি নবায়ন প্রসঙ্গে টোরেস বলেন, আরও এক বছরের জন্য ক্লাবে থাকতে পেরে আমি সত্যিই দারুণ খুশি। ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সী লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাটলেটিকো থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাব সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রিয়ালের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আগামী ছয় মৌসুমের জন্য রিয়াল ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থিও হার্নান্দেজের ট্রান্সফারের ব্যাপারে সমঝোতায় এসেছে। গত মৌসুমে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই থিও অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। আর রেকর্ড ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে আর্সেনালে এসেছেন ফরাসী স্ট্রাইকার লাকাজেত। গত মৌসুম ফরাসী লীগ ওয়ানে লিঁওর হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৩৭ গোল করেন ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। লাকাজেতের আগে গানার্সদের সর্বোচ্চ ট্রান্সফারের রেকর্ড ছিল মেসুত ওজিলকে ঘিরে। ২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৪২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এমিরেটস স্টেডিয়ামে উড়ে এসেছিলেন জার্মান মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো। লাকাজেত পূর্বের সেই রেকর্ডটা দুমড়ে মুচড়ে নতুন একটা মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।
×