ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডব্লিউএইচও’র শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ জুলাই ২০১৭

ডব্লিউএইচও’র শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

বিডিনিউজ ॥ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অটিজমবিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। পুতুল ডাকনামে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা বাংলাদেশে অটিজমসহ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রচার বিস্তারে কাজ করছেন। স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সনদপ্রাপ্ত সায়মাকে এর আগে গত এপ্রিলে ১১ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিয়োগ দেয় ডব্লিউএইচও। ডব্লিউএইচ’র সঙ্গে তার এ সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে আগামী দুই বছরের জন্য একই অঞ্চলে ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীতে এ ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘অটিজম শনাক্তকরণে মিসেস হোসেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্রমাগত যে শ্রম দিচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। অটিজম শনাক্তকরণে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি আক্রান্তদের দুর্ভোগ কমাতে ও সচেতনতা তৈরিতে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।’ ডব্লিউএইচও’র মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অটিজম বিষয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদানের জন্য ডব্লিউএইচও তাকে ২০১৪ সালের জন্য ‘এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড’ও দিয়েছে। গত এপ্রিলে ভুটানে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অটিজমসহ অন্যান্য নিউরো ডিসঅর্ডারের ওপর ‘থিম্পু ঘোষণা’ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সায়মা। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইইউ’র পৌনে ১৪ কোটি টাকা সহায়তা কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ইউরো ( প্রায় পৌনে ১৪ কোটি টাকা) সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার ঢাকার ইইউ অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যৌথভাবে এ অর্থ সহায়তার কথা জানানো হয়। জরুরী ত্রাণ সহায়তার জন্য তহবিল গঠনের অংশ হিসেবে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অতি দরিদ্র মানুষজনই এটি প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন বলে ইইউ জানায়। পৌনে ১৪ কোটি টাকা থেকে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। ইইউ’র মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ান্ডিস জানান, এই অর্থ যারা অতি দরিদ্র তাদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে কাজে দেবে। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে তারা যে বিপদে সময় কাটাচ্ছেন এর থেকে উত্তরণে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থের। সহায়তাটি তারই অভিপ্রায়। গত ২৯ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে। কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে প্রবল বেগে বয়ে যায় ঝড়।
×