ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফর

প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছেন লিটনবাহিনী

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৬ জুলাই ২০১৭

প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছেন লিটনবাহিনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরি আমন্ত্রণ একাদশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতেছে বিসিবি হাই পারফর্মেন্স (এইচপি) দল। তবে জয়টি সুখকর হয়নি। মাত্র ১ উইকেটের জয় মিলেছে। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছে। ডিকম্যান সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। আবুল হাসান রাজু ২ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন। জবাব দিতে নেমে হারের কবলে পড়ে যায় এইচপি। ১৭৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে অপরাজিত ৫১ রান করে দলকে হার থেকে বাঁচানো তানভির হায়দার ও অপরাজিত ১ রান করা জুবায়ের হোসেন লিখন বাঁচান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৯০ রান করে জিতে এইচপি দল। করুণ অবস্থা হয় এইচপি দলের। যাদের নিয়ে আসা করা হয় সেই লিটন কুমার দাস (৪১) কিছুটা স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে পারলেও এনামুল হক বিজয় (২০) হন ব্যর্থ। ব্যাট হাতেও আবুল হাসান রাজু যদি ৩১ রান শেষ মুহূর্তে না করতেন তাহলে নিশ্চিত বিপদই আসত। তানভির হায়দার তো দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ধৈর্য ধরে ৮৩ বল খেলে অপরাজিত ৫১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বাকিরা ব্যর্থ হন। লিটন ও বিজয়ের ওপেনিং জুটিটি ৫৮ রান পর্যন্ত এগিয়ে যায়। কিন্তু এরপর বিজয় আউট হতেই একটু পরপর উইকেট পড়তে থাকে। ১২৪ রানেই ৭ উইকেটে পতন ঘটে যায়। লিটন এমন সময় আউট হলে দল খাদের কিনারায় পড়ে যায়। এরপর রাজু হাল ধরেন। আর তানভির তো থাকেনই। রাজু ১৭৭ রানে আউটের পর যেন হারের কবলেই পড়ে যায় এইচপি। কিন্তু তানভির ও লিখনের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে জয় মিলে। এই সফরটিতে যে ক্রিকেটাররা গেছেন তাদের দিকে বিশেষ নজর থাকছে। সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ। সেই সিরিজে দলে ঢুকার মতো অবস্থায় আছেন কিনা কেউ তা দেখা হবে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে যে অবস্থা দেখা গেছে তাতে শঙ্কাই জাগছে। এখন সামনে যে আরও চারটি ওয়ানডে ও একটি তিনদিনের ম্যাচ রয়েছে, সেদিকেই নজর থাকবে। আজ ও শুক্রবার টানা দুইদিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৭, ৯ ও ১১ জুলাই যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে খেলবে এইচপি দল। অস্ট্রেলিয়া নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট দলের বিপক্ষে এমসিজি ১ (মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ড) গ্রাউন্ডে খেলা হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ১৩ থেকে ১৫ জুলাই তিনদিনের একটি ম্যাচ হবে। এই ম্যাচগুলোতে ব্যাটসম্যানদের দিকেই বিশেষ নজর থাকবে। বিশেষ করে লিটন কুমার দাস ও এনামুল হক বিজয়ের দিকেই দৃষ্টি থাকছে সবার। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে বিজয় ব্যর্থ হলেন। দেশ ছাড়ার আগে বিজয় বলেছিলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ম্যাচগুলো খেলেছি। ওগুলো বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। ওই সাহসটা নিয়ে যাচ্ছি। জানি না ওই টিম, কেমন উইকেট হবে। প্রথমবারের মতো যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয় ওগুলো দেখে শুনে যদি আশাবাদী হই, তাহলে ভাল কিছু করতে পারব। আত্মবিশ্বাস আছে। বাড়তি সাহস আছে। যেহেতু হার্ডওয়ার্ক অনেকদিন ধরে করছি। আশাকরি ভাল কিছু করার। রোমাঞ্চকর অবশ্যই। ন্যাশনাল টিমের ক্যাম্পে আছি। এইচপি ট্যুরে যাচ্ছি। অনেকদিন পর ট্যুরে যাচ্ছি। অবশ্যই নিজের মধ্যে এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে। নতুন সে আন্ডার নাইনটিনের ট্যুরগুলোর মতো মনে হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় খুব আত্মবিশ্বাসী আমি। স্যাররা বিশ্বাসী আমার ওপর। এ জন্যই সুযোগ পেয়েছি। তাদের আশাটা পূরণ করাটা মূল লক্ষ্য হবে। দেশবাসীও চাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল টিমে কামব্যাক করি। ভাল খেলি। বাবা মা ফ্রেন্ড সার্কেল খুব খুশি। তারা চাচ্ছে ভাল কিছু করি। তাদের আশাটা পূরণ করার চেষ্টা করব।’ প্রথম ওয়ানডেতে হয়নি। এখন সামনের ওয়ানডেগুলোতে হলেই হয়। কষ্ট করে বিজয় ভাল একটা ইনিংসও খেলতে পারেননি। তবে দল কষ্ট করে ঠিকই জিতেছে।
×