ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৬ জুলাই ২০১৭

আজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকারী কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে চতুর্থবারের মতো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করতে যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে এপিএ চুক্তি হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সচিবালয়ে বুধবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা যেটাকে আমরা এপিএ বা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বলি। সেই অঙ্গীকারনামাটি বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা স্বাক্ষর করবেন। সচিব জানান, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা চুক্তি সইয়ের পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবেন। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তির ডকুমেন্টটি তৈরি করতে আমাদের দীর্ঘ ৬ মাস কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে ডকুমেন্টটি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে। ডকুমেন্টটিকে মানসম্মত করতে দেশে-বিদেশে কিছু আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছি, ওয়ার্কশপ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ডকুমেন্টটির খসড়াটি ১৪টি পর্যালোচনা সভার মাধ্যমে চূড়ান্ত করেছি। রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও মন্ত্রণালয়ের এ্যালোকেশন অব বিজনেস (কার্যপরিধি ও দায়িত্ব) অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংগে অধিনস্ত দফতর, সংস্থার কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতর, সংস্থা ছাড়াও বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের দফতরকে এপিএ চুক্তির আওতায় আনা হয়। এপিএ চুক্তি অনুযায়ী অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনুযায়ী নম্বর দেয়া হয়। বিগত সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জন করতে পেরেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রতিবেদন এই মাসের শেষের দিকে মূল্যায়ন শুরু করতে পারব। এর আগে দু’বছর মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রথম এপিএ চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক কিছু মূল্যায়ন সুযোগ ছিল না জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, দ্বিতীয়টা আমরা মনোযোগ দিয়ে মূল্যায়নের চেষ্টা করেছি। বর্তমানটা আমরা আরও উন্নত করার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল্যায়নে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ ভাগের ওপর অর্জন করেছে ২৩টি মন্ত্রণালয়, আর ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের ওপর অর্জন করেছে। বাকি ৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের নিচে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চুক্তি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর গড় অর্জন ৮৮ দশমিক ০৮ শতাংশ জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, মনে করি অনেকটা ভাল রেজাল্ট।
×