অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০ জনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অর্থ ছাড় করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারি করে সম্প্রতি এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে এ অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে আগামী ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। ওই পরিপত্রে বলা হয়, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২০ জন দেশী-বিদেশী নাগরিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য পরিবার প্রতি ১৫ হাজার ইউরো বা ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হলো। ১ ইউরো সমান ৯৩ টাকা হিসেবে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা’ খাত হতে জননিরাপত্তা বিভাগের অনুকূলে ক্ষতিপূরণ খাতে নির্দেশক্রমে বরাদ্দ প্রদান করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ অর্থ ব্যয়ে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান এবং ফিন্যান্সিয়াল প্রোপার্টি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কোডে সমন্বয় হবে। আগামী ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে যদি সব অর্থ সংশ্লিষ্টদের দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে অব্যয়িত অর্থ আগামী ৩০ জুনে সমর্পণ করতে হবে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় দেশী-বিদেশী নিহত সরবার জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে। এ অর্থ জননিরাপত্তা বিভাগ বিতরণ করছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে শুধু ইতালির নিহত ৯ নাগরিকের পরিবারকে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দেয়ার সুপারিশ করেছিল। এটাকে বৈষম্য উল্লেখ করে আপত্তি জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আনেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহত সব ব্যক্তির পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অর্থ ছাড় করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হলি আর্টিজান বেকারিতে ১ জুলাই রাতে জঙ্গীরা ২০ জনকে হত্যা করে। এদের মধ্যে ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপানী, ৩ জন বাংলাদেশী এবং ১ জন ভারতের নাগরিক। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। পরে আহত অবস্থায় ওই বেকারির এক কর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত সব ব্যক্তির পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ধ নেয় সরকার।
