ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ের অধিকাংশ ব্যাংক সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে টাকা কাটছে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৬ জুলাই ২০১৭

 চাঁপাইয়ের অধিকাংশ ব্যাংক  সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে টাকা কাটছে

ডি. এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সরকারী নির্দেশের নজীরবিহীন উপেক্ষার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে প্রায় ৮০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আর এই উপেক্ষার কাজটি করেছে বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকের শাখাসমূহ। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখাও রয়েছে। জুন ক্লোজিংয়ের সময় প্রতিটি ব্যাংক শাখায় লভ্যাংশ দিয়ে থাকে গ্রাহকদের। কিন্তু এসব ব্যাংক সরকারী নির্দেশ অমান্য করে কোন ছাড় না দিয়ে সমানভাবে ডিটাকটেড, মেনটেন্যান্সসহ ১৫% ভ্যাট কেটেছে সমানতালে। লাভ দিয়েছে কাটা টাকার ১৬ ভাগের এক ভাগ। যেমন সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা, সাধারণ এ্যাকাউন্ট নম্বর ৪৭০২৭৩৪০৩৮৬৭৭ এ ৩০ জুন ২০১৭ তে স্থিতি টাকার পরিমাণ ৮০ হাজার ১৪৬ টাকা ৫১ পয়সা। তারা নানান নামে ৫৯৬ টাকা কেটেছে। স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৮০১ টাকা ৫১ পয়সা। অনুরূপভাবে একই ব্যাংক ৪৭০২৭৩৪০৪৭৮৮৪ এ্যাকাউন্টে ৩০ জুন স্থিতি টাকার পরিমাণ ৯৯ হাজার ৩২৬ টাকা ২৮ পয়সা। এটাও স্থিতিতে এসেছে ১ হাজার ৮৫৮ টাকা সুদ দিয়ে। কিন্তু এর ওপর ১৫% ভ্যাট কেটে ২৭৯ টাকা, মেনটেন্যান্স দেখিয়ে ৩০০ টাকা, ভ্যাট অনপেমেন্টস দেখিয়ে ৪৫ টাকা। সব মিলিয়ে কেটেছে ৬২৪ টাকা। অথচও সরকারের নির্দেশ রয়েছে বছর শেষে কাটবে ১ শ’ ৫০ টাকা। অথচও এই নির্দেশ উপেক্ষা করে কেটেছে ৬২৪ টাকা। ম্যানেজার বলেছে বছর শেষে আবার এই এ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হবে ১৫০ টাকা। এভাবে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টাকা কাটায়, মাত্র একটি শাখায় কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে ব্যাংক। আর সব মিলিয়ে জেলায় রয়েছে সরকারী-বেসরকারী ৮০টি ব্যাংকের শাখা। খবর নিয়ে জানা গেছে, সব মিলিয়ে এই ধরনের টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি বা তারও বেশি ছাড়িয়ে যাবে। পাশাপাশি লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকারও কম। যার কারণে ব্যাংকের টাকা উঠিয়ে গ্রাহকরা উর্ধমুখী হয়ে দৌড়াচ্ছে পোস্ট অফিসের সঞ্চয়ের দিকে। যার কারণে পোস্ট অফিসে ৫ বছর মেয়াদী এক, দুই, তিন বা চার লাখ টাকার বই শেষ হয়ে গেছে এক মাস আগে। এখন রয়েছে শুধু ৫ লাখ টাকার বই। ফলে ছোট ছোট সঞ্চয়ীরা টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এই চিত্র পোস্ট অফিসের অন্যান্য সঞ্চয় শাখাতেও দেখা দিয়েছে। কিন্তু সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ব্যাংকগুলো সরকারের সকল নির্দেশ উপেক্ষা করে সমানতালে টাকা কেটে নিয়েছে জুন ফাইনালে। অথচ লভ্যাংশ দিয়েছে টাকার ১৬ ভাগের মাত্র ১ ভাগ। যার কারণে ভবিষ্যতে মানুষের ব্যাংকমুখী হবার প্রবণতা কমে আসবে। পাশাপাশি ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারী ইমেজ নষ্ট করছে।
×