ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতির প্রতিশোধ;###;আমিনূর রশীদ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ধস ঢল জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৬ জুলাই ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ধস ঢল জলাবদ্ধতা

প্রকৃতি আমাদের বসবাসের জন্য অকৃপণ হাতে দান করেছে তার সকল রূপ ও ঐশ্বর্য। কিন্তু লোভী মানুষ তার এসব ঐশ্বর্য অজ্ঞানের মতো যথেচ্ছা ব্যবহার করে নিজের ক্ষতি নিজেই করছে। এ জন্য প্রকৃতি দায়ী নয়। দায়ী অতি লোভী মূর্খ মানুষ। প্রকৃতিকে যতটুকু আঘাত করবে তার দ্বিগুণ পরিমাণ আঘাত সে ফিরিয়ে দেবে। অর্থাৎ প্রকৃতি বুঝিয়ে দেয়, আমাকে কাঁদালে কারও নিস্তার নেই। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। আর মানুষের এসব আচরণের কারণেই ধরিত্রী আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর বলতে চায় মানুষ, তোমরা ক্ষমার অযোগ্য। আমার বক্ষে তোমাদের কোন স্থান নেই। জন্ম জন্মান্তর থেকে মানুষ এভাবে প্রকৃতির সঙ্গে বিরূপ আচরণ করে আসছে। আর এই বিরূপ আচরণের ফলেই দেশে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। আর তারই প্রমাণ গত কয়েকদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু। অপরিণামদর্শী লোভী মানুষ কোন কিছু না বুঝে নির্বিচারে পাহাড় কেটে সমতল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। পাহাড়ের গাছপালা কেটে উজাড় করছে। আমার দেখা আমার নিজ এলাকার ‘কালেঙ্গা’ পাহাড় কেটে সমতল করে প্লট প্লট করে দখল করে এক বিরাট বাজার সৃষ্টি করা হয়েছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই বাজারে উচ্ছেদ অভিযান করে সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পুনর্দখল করে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকু- জলপ্রপাত আগে আমরা যে রূপে দেখেছি বর্তমানে তার সেই রূপ নেই। কু-ের দুই দিকের পাহাড় কেটে সমতল করে এখানে রেস্তরাঁ নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বে কু-ের যে রূপ ঐশ্বর্য ছিল তা এখন আর নেই। এখন কু-ের কাছে গেলে মনে হয় যেন, কু- বলছে, হে মূর্খ মানব দেখ তোমরা কিভাবে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে আমাকে রক্তাক্ত করেছো। কু-ের এই নীরব কান্না কেউ শুনে না, কেউ বুঝে না। এই ঈদে স্থানীয় প্রশাসন মাধবকু- পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে কু-ের প্রায় ৪০ ফুট এলাকা ২ ফুট নিচের দিকে দেবে গেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই হলো গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের অসভ্য আচরণের বাস্তব নমুনা। গীর্জাপাড়া, মৌলভীবাজার থেকে
×