ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এইচপি ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়া মিশন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৫ জুলাই ২০১৭

এইচপি ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়া মিশন শুরু আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিসিবি হাই পারফর্মেন্স (এইচপি) দল থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের তুলে আনা হয়। যেমন মেহেদী হাসান মিরাজকে নেয়া হয়েছিল। তাই এইচপি দলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ এইচপি ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া মিশন শুরু করছেন। অস্ট্রেলিয়া ১৯ নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলা দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামছেন। এই খেলতে নামার সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও জড়িত। ক্রিকেটাররা এ অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেই হয়তো জাতীয় দলের দরজা খুলে যেতে পারে। বিশেষ করে এনামুল হক বিজয় আছেন। রয়েছেন লিটন কুমার দাস। এ দুইজনের দিকে বিশেষ নজর থাকছে। আজ শুরু হয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১১ জুলাই শেষ হবে। আজ প্রথম ওয়ানডের পর টানা দুইদিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে এবং ৭, ৯ ও ১১ জুলাই যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে খেলবে এইচপি দল। অস্ট্রেলিয়া ১৯ নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট দলের বিপক্ষে এমসিজি ১ (মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ড) গ্রাউন্ডে খেলা হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ১৩ থেকে ১৫ জুলাই তিনদিনের একটি ম্যাচ হবে। এইচপি দলটির প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এ অস্ট্রেলিয়া সফরের আয়োজন করা হয়েছে। এইচপি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন কুমার দাস। দলে আরও আছেন এনামুল হক বিজয়, সাইফ উদ্দিন, তানভির হায়দার খান, মেহেদী হাসান সিদ্দিক, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, নাজমুল হোসেন শান্ত (সহঅধিনায়ক), এবাদত হোসেন চৌধুরী, তাসামুল হক, আবুল হাসান রাজু, ইরফান শুকুর, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নিহাদ উজ জামান, জুনায়েদ হোসেন লিখন। স্ট্যান্টবাই রয়েছেন সাদমান ইসলাম, হোসেন আলী, এমরান আলী এনাম ও আল আমিন। দলে থাকা ক্রিকেটারদের দৃষ্টি জাতীয় দলে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর চেষ্টায় নৈপুণ্য করে যাবেন সবাই। বিশেষ করে বিজয় ও লিটন সেই যাত্রায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকছেন। অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বিজয় যেমন বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ম্যাচগুলো খেলেছি। ওগুলো বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। ওই সাহসটা নিয়ে যাচ্ছি। জানি না ওই টিম, কেমন উইকেট কেমন হবে। প্রথমবারের মতো যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয় ওগুলো দেখে শুনে যদি আশাবাদী হই তাহলে ভাল কিছু করতে পারব। আত্মবিশ্বাস আছে। বাড়তি সাহস আছে। যেহেতু হার্ডওয়ার্ক অনেকদিন ধরে করছি। আশাকরি ভাল কিছু করব।’ অস্ট্রেলিয়া সফর। তাই রোমাঞ্চিতও বিজয়, ‘রোমাঞ্চকর অবশ্যই। ন্যাশনাল টিমের ক্যাম্পে আছি। এইচটি ট্যুরে যাচ্ছি। অনেকদিন পর ট্যুরে যাচ্ছি। অবশ্যই নিজের মধ্যে এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে। নতুন সে আন্ডার নাইনটিনের ট্যুরগুলোর মতো মনে হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় খুব আত্মবিশ্বাসী আমি। স্যাররা বিশ্বাসী আমার ওপর। এ জন্যই সুযোগ পেয়েছি। তাদের আশাটা পূরণ করাটা মূল লক্ষ্য হবে। দেশবাসীও চাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল টিমে কামব্যাক করি। ভাল খেলি। বাবা মা ফ্রেন্ড সার্কেল খুব খুশি। তারা চাচ্ছে ভাল কিছু করি। তাদের আশাটা পূরণ করার চেষ্টা করব। যেন সুসংবাদ নিয়ে আসতে পারি। প্রিমিয়ার লীগে যেভাবে খেলেছি ওই খেলাটা ধরতে চাই। ওই খেলাটা খেলতে চাই।’ জুবায়ের হোসেন লিখন তো খুব আত্মবিশ্বাসী। বলেছেন, ‘যত ট্যুর করেছি বাইরে, আল্লাহর রহমতে নাইনটিনেও কিন্তু আমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলাম। চেষ্টা থাকবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। বাইরের টিমগুলোর সাথে আমার বোলিং ভাল ছিল। এটা কন্টিনিউ করার। আগে যা করেছি তারচেয়ে ভাল কিছু করার টার্গেট থাকবে। ভাল প্ল্যাটফর্ম। এখানে পারফর্মেন্স ভাল করলে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ থাকবে। ক্যাম্পে ঢোকা সহজ হবে। চেষ্টা থাকবে এখানে ভাল কিছু করার। আগেরবার যখন এ টিমের হয়ে গেলাম। আমরা একটা ম্যাচ জিতেছিলাম। ওই ম্যাচটাতে আমি আট বলে চার উইকেট পাইছিলাম। চেষ্টা থাকবে এমন কিছু করা টিমের যাতে ভাল হয়।’
×