ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রেমে সাড়া না দেয়ায় মা-মেয়ের শ্লীলতাহানি

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৫ জুলাই ২০১৭

প্রেমে সাড়া না দেয়ায় মা-মেয়ের শ্লীলতাহানি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও তার মাকে শ্লীলতাহানি করে মারধর করেছে এলাকার চিহ্নিত বখাটেরা। হামলায় আহত স্কুলছাত্রীর মা নুরজাহান বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি উজিরপুর পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের। অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার খেজুরা ভরপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাসরুমে পঞ্চম শ্রেণীর চার শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় সোমবার রাতে গোপনে কথিত সালিশের কথা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মকবুল হাওলাদারের স্ত্রী নুরজাহান বেগম মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, তার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যাকে (১৪) দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই ওয়ার্ডের উত্তর রাখালতলা মহল্লার বাবুল বেপারীর বখাটে পুত্র শাওন। প্রত্যাখ্যান করায় বখাটে শাওন ও তার সহযোগী সেন্টু হাওলাদার, মিন্টু ও লিটন হাওলাদার স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তার কন্যাকে বিভিন্ন ধরনের উত্ত্যক্ত শুরু করে। তার কন্যা বিষয়টি তাকে জানালেও ইজ্জতের ভয়ে তারা নিশ্চুপ থাকে। নুরজাহান আরও জানান, গত ২৭ জুন বিকেলে তিনি তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় উত্তর রাখালতলা এলাকায় বসে বখাটে শাওন ও তার সহযোগীরা স্কুলছাত্রীর হাত ধরে টানাহেচড়া ও শ্লীলতাহানি করে। এ সময় তিনি প্রতিবাদ করায় তাকেও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বখাটেরা মারধর করে। ওই সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় দুইদিন পর তিনি (নুরজাহান) ও তার ভাই কালিরবাজার হাটে বাজার করতে গেলে বখাটেরা পুনরায় তাদের মারধর করে। এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার খেজুরা ভরপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল পালের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস রুমে বসে চার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে সোমবার রাতে গোপনে কথিত সালিশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই বৈঠকের কথা এলাকায় চাউর হয়ে গেলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীরা জানায়, গত ২ জুলাই বিজ্ঞান ক্লাসে ননী গোপাল পাল গোলার্ধের বিষয় বস্তু বুঝানোর নামে একে একে চার ছাত্রীর বুকে হাত দেয়। বিষয়টি তারা প্রথমে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা চায়না বেগমকে জানালে সে এই কথা কাউকে না জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের শাসিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানানোর পর তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য হায়দার আলী মুন্সি ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিতোষ শীলের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ নিয়ে সোমবার রাতে গোপনে কথিত সালিশ বৈঠকে ভুক্তভোগী চার ছাত্রীর পরিবারকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি প্রদর্শন করা হয়। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হায়দার আলী মুন্সি জানান, বিয়টি প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
×