ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল ॥ দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৫ জুলাই ২০১৭

গাইবান্ধায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল ॥ দুর্ঘটনার শঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৪ জুলাই ॥ গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের পূর্ব বোয়ালী এলাকায় নির্মিত সেতুটি ২০১৪ সালের বন্যায় দেবে যায়। দেবে যাওয়া ওই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ফুলছড়ি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘদিনেও সেতুটি সংস্কার না করায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এ পথে চলাচলকারী অনেকে। অথচ জেলা শহরের সঙ্গে সহজে ফুলছড়ি উপজেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেতুটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের পূর্ব বোয়ালী এলাকার সেতুটি ২০১৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সেতুর দক্ষিণ অংশ ভেঙ্গে হেলে পড়ে এবং দেবে যায়। তখন থেকেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাছাড়া সেতুটির দুপাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলেও বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে এ পথে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের দূরত্ব কম হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। শহর থেকে পণ্য নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু পার হতে হয়। ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মানুষ তাদের কৃষিপণ্য বিক্রি করতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। সেতুর ওপর দিয়ে সদর উপজেলার বোয়ালী গ্রামের লোকজন বিভিন্ন কাজে ফুলছড়ি উপজেলা সদরে যান। স্থানীয় জনসাধারণ ধসে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে পারলেও ট্রাক, সিএনজি, নছিমন, ভটভটি, করিমন এবং রিক্সা-ভ্যানসহ অন্যান্য ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এতে এ সড়কে চলাচল করা কয়েকটি এলাকার জনসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বর্তমানে ভারি যানবাহনসহ পিকআপ ভ্যান, ম্যাজিক, সিএনজি এসব গাড়ি প্রায় ১০ কিমি ঘুরে মদনেরপাড়া হয়ে জেলা সদরসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করছে। বোয়ালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, এই সড়ক দিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার অনেক মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে। অনেক সময় গাইবান্ধা-বালাসী-কালিরবাজার সড়কে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে এ সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেতুটি মেরামতের কোন ব্যবস্থাই করছেন না। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারী প্রকৌশল অধিদফতরের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম জানান, ওই স্থানে একটি কালভার্ট পুনঃনির্মাণের নক্সাসহ ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধান কার্যালয় ডিজাইন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছে। এখন সে অনুযায়ী ডিজাইন প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। তা অনুমোদন হলেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
×