ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ জুলাই ২০১৭

পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল।
×