ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে সোলার পাওয়ার জোন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৫ জুলাই ২০১৭

দেশে সোলার পাওয়ার জোন হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেছেন, প্রায় ৪ হাজার একর জমির ওপর আমরা সৌর বিদ্যুত জোন (সোলার পাওয়ার জোন) স্থাপন করতে যাচ্ছি। এই জোন স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমোদনের পর জোনের নাম নির্ধারণ করা হবে। তবে এ সৌর বিদ্যুত জোনের নাম ‘বঙ্গবন্ধু সোলার পাওয়ার জোন’ হওয়ার কথা আছে বলে তিনি জানান। পবন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এবং পাওয়ার চায়না দেশের সর্ববৃহৎ সোলার জোন বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোলার জোনটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে ১ হাজার একর ও পাওয়ার চায়নাকে ৩ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা করছি। সোলার জোন বাস্তবায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করে বেজা প্রধান বলেন, আগামী বছরের মধ্যে জোনটি’র আংশিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে। দেশের চরাঞ্চলের বালুচর চাষাবাদের উপযুক্ত নয় বলে এই অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুত জোন তৈরি হলে জমিগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে মত দেন বেজা প্রধান। তিনি বলেন, পাওয়ার জোনের জন্য নির্বাচিত জমি কোনো শস্য চাষের উপযোগী নয়। তবে এগুলো নবায়নযোগ্য বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। এক প্রশ্নের জবাবে বেজা প্রধান বলেন, দ্রুত শিল্পায়নের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পাওয়ার জোনকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। বিদ্যুত বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট (২০০৯) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে দেশের বিদ্যুত খাত ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। এদিকে বহুমাত্রিক শিল্প, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, উৎপাদন ও রফতানির মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে বেজা। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে আইনী প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় আইন এবং নিয়ম-নীতি তৈরি করেছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য হয়রানিমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের অধীনে গ্যাস, পানি এবং বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতসহ অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সহযোগিতার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতিও তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিদ্যুতের ওপর ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনাও ঘোষণা করেছে।
×